কোপা আমেরিকা ফাইনালে হারের যন্ত্রণায় টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারটাই কি ফেলে এসেছেন লিওনেল মেসি?
আর্জেন্তাইন মিডিয়ার খবর অনুযায়ী উত্তরটা হ্যাঁ। ফাইনালের পর কোপার সেরা ফুটবলারের সোনার বল না দেওয়ার জন্য মেসি নাকি আবেদন করেন সংগঠকদের। তার পরেই সেই পুরস্কার সরিয়ে নেন সংগঠকরা।
বিষয়টির সত্যতা প্রমাণে মারাদোনার দেশের প্রচার মাধ্যম একটি ভিডিও ফুটে়জও বার বার দেখাচ্ছে। যেখানে দেখাচ্ছে, এভার বনেগা টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করতেই মাথা নিচু করে প্রথমে দাঁড়িয়ে পড়লেন মেসি। তারপরেই হাঁটতে শুরু করেন পোডিয়ামের দিকে। সেখানেই সংগঠকদের দিকে তাঁকে দেখা যায় কিছু বলতে। আর্জেন্তাইন মিডিয়ার দাবি, মেসি তখনই নাকি সংগঠকদের কাছে অনুরোধ করেন, টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার তাঁকে যেন না দেওয়া হয়। এর পরেই দেখা যায়, সেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি সরিয়ে নিচ্ছেন সংগঠকরা। এমনকি পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে রানার আপ মেডেল গলায় ঝোলানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই মেডেল খুলে নিয়ে হনহন করে হাঁটা দেন ড্রেসিংরুমের দিকে!
টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের যে ট্রফি প্রথমে রাখা ছিল মঞ্চে। পরে মেসির কথা শোনার পর যা সরিয়ে নেওয়া হয়।
শুধু এই ফুটেজই নয়, আর্জেন্তাইন মিডিয়ার আরও দাবি, পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় চিলির আর্জেন্তাইন কোচ জর্জ সাম্পাওলি মেসির কাছে নাকি জানতে চেয়েছিলেন, কেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারটা প্রত্যাখ্যান করলে? জবাবে মেসি বলেন, ‘‘চিলিতে এসেছিলাম কোপা আমেরিকার ট্রফিটা টিমের হয়ে দেশে নিয়ে যেতে। নিজের জন্য ট্রফি নিতে আসিনি।’’
চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিয়ে সাঞ্চেজ। ছবি: টুইটার
ফুটবল বিশেষজ্ঞ মহলের কেউ কেউ আবার এই ঘটনার সঙ্গে এক বছর আগে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালের রাতের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। কারণ সে দিন রাতেও ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিশ্বকাপ রানার্স হওয়ার পর আর্জেন্তিনা অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘‘টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা পাওয়া ভাবাচ্ছে না। ভাবাচ্ছে একটাই ব্যাপার— ট্রফিটার এত কাছে এসেও তা দেশে নিয়ে যেতে পারলাম না। এটা চরম যন্ত্রণা।’’
তফাৎ এটাই যে সে বার সেরা ফুটবলারের ট্রফিটা নিয়ে গিয়েছিলেন মেসি। এ বার সেই ট্রফি মেসি আদৌ নিয়েছেন কি না তা নিয়ে এক রাশ জল্পনা। আর্জেন্তিনা ফুটবল ফেডারেশনের তরফে সরকারি ভাবে কিছুই জানানো হয়নি এ ব্যাপারে। মন্তব্য করেননি এলএম টেনও।