ম্যাচ শেষে মেসিকে বুঁফোর শুভেচ্ছা। ছবি: মেসির টুইটার।
বার্সেলোনা ৩ (মেসি-২, রাকিটিচ)
জুভেন্টাস ০
বিশ্ব কাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের ম্যাচে মেসির আর্জেন্তিনার অবস্থা বেশ খারাপ। কিন্তু বার্সেলোনা চলছে স্বাভাবিক গতিতেই। গোলও পাচ্ছেন মেসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুটা তাই ন্যু ক্যাম্পে জমিয়েই শুরু করে দিল মেসির অ্যান্ড ব্রিগেড। মেসির জোড়া গোলে জুভেন্টাসকে ০-৩ গোলে হারিয়েই মরসুম শুরু করল বার্সা। একটি গোল রাকিটিচের। মেসির কাছে পরাস্ত হতে হল বর্ষীয়ান গোলকিপার বুফনকে। দলকে জিতিয়ে ফেসবুকে বার্তাও দিলেন ফুটবলের রাজপুত্র। বুঝিয়ে দিলেন এই মরসুমে বার্সেলোনাকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। নিজের ছবি পোস্ট করে মেসি লেখেন, ‘‘ইউরোপিয়ান জার্নি শুরুর জন্য দারুণ ফল। দারুণ একটা রাত।’’
আরও পড়ুন
স্ট্রাইকার-চিন্তা মেটাতে জিজুর অস্ত্র রোনাল্ডো
শূন্যে ভাসার মন্ত্র শঙ্করকে শেখালেন তরুণ ‘স্যার’
বার্সেলোনা শেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল ২০১৫ সালে। গত দু’বছরে ফাইনালেও পৌঁছতে পারেননি। গত বছর এই জুভেন্টাসের কাছে সেমিফাইনালে হেরেই ছিটকে যেতে হয়েছিল। গতকালের ফল তারই বদলা। মেসির বার্সেলোনায় থাকা নিয়ে জল্পনা এখনও চলছে। তার মধ্যেই প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল। প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তেমৌ ম্যাচ শেষে বলেন, ‘‘মেসি? ওর চার বছরের চুক্তি। ও ছোটবেলা থেকেই ও আমাদের হয়ে সেরাটা দিচ্ছে। আর ওর খেলা দেখতে ভাললাগে কারণ ও আলাদা।’’ সব কিছুকে অবশ্য ছাপিয়ে গেল অন্য একটি ঘটনা। মেসি গোল করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই প্রথম বুফনের বিরুদ্ধে গোল করলেন তিনি।
প্রথমার্ধের ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লিও মেসি। দৌড় শুরু করেছিলেন প্রায় মাঝমাঠ থেকেই। জুভেন্টাস মিডফিল্ড থেকে রক্ষণ কাটানোর পাশাপাশি সুয়ারেজের সঙ্গে ছোট্ট আদান-প্রদান আর তার পরই গোলমুখি গড়ানে শট। ততক্ষণে গোলমুখ ছোট করতে জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বুফন। কিন্তু মেসির হিসেবি টাচের নাগাল পাননি অভিজ্ঞ এই গোলকিপার। এখানেই শেষ প্রথমার্ধ। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নেমেছিল বার্সেলোনা। সঙ্গে মনে ছিল গতবারের হার আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া। যার ফল ৫৬ মিনিটে বার্সেলোনার হয়ে ২-০ করে গেলেন রাকিটিচ। তার আগেই মেসির শট পোস্টে লেগে ফিরেছে। না হলে হ্যাটট্রিক লেখা থাকত মেসির নামে। হ্যাটট্রিক না হলেও ৬৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করে ফেললেন মেসি। এ বার গোলের পিছনের কারিগর ছিলেন সেই ইনিয়েস্তা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকেই গোলের রাস্তা তৈরি করেছিলেন তিনি। বার্সেলোনা ৩-০ করে ফেলার পর আর কিছুই করতে পারেনি জুভেন্টাস।