গুরু জিতোর সঙ্গে নিজের ছবি টুইট করলেন নেইমার।
তাঁর সেরা ছাত্রের কোপা আমেরিকায় ঝলসে ওঠার তৃপ্তি নিয়েই কি চিরতরে চলে গেলেন জিতো?
নিজে গোটা খেলোয়াড়জীবন সান্তোসে খেলার পর জিতো-ই নিজের ক্লাবে প্রথম নিয়ে এসেছিলেন নেইমারকে। তার পর ইতিহাস! নেইমারের মতো রোবিনহোকেও সান্তোসে সই করিয়েছিলেন জিতো। রবিবার রাতেই নেইমারের ঝলসানিতে তাঁর দেশ কোপায় প্রথম ম্যাচ জেতে। কিন্তু রাত পোহাতেই সোমবার ব্রাজিলের ওয়ান্ডারকিডের জন্য অপেক্ষা করছিল জীবনের অন্যতম খারাপ খবর। তাঁর মেন্টর জিতো-ই নেই। দু’বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন প্রাক্তন ব্রাজিল ফুটবলারের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। যদিও মৃত্যুর সরকারি কারণ এখনও অজানা।
খবর পেয়েই ‘শকড্’ নেইমার টুইট করেছেন, ‘এই মানুষটাকে ব্যাখ্যা করার কোনও শব্দ আমার কাছে নেই। আমি শুধু ওনাকে ধন্যবাদ জানাতে পারি। ধন্যবাদ জিতো!’
১৯৫৮ ও ১৯৬২ উপর্যুপরি দু’বার বিশ্বকাপজয়ী জিতোর বাষট্টির ফাইনালে একটি গোলও আছে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাজিলের ৩-১ জয়ের ম্যাচে। পেলের সঙ্গে ব্রাজিলের একই দলে খেলে জিতো বিশ্বকাপের মতোই সান্তোসের হয়ে পরপর দু’বার লিবারতাদোরেস কাপও জেতেন।
জিতোর প্রয়াণের খবর পেয়েই শোকগ্রস্ত ফুটবল সম্রাট পেলেও। টুইটারে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘কেবল মেন্টর বা বন্ধু বললেই শেষ হবে না। সান্তোসে সই করার দিন থেকেই জিতো ছিল আমার কাছে এক জন পিতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব। কত সুখস্মৃতি গুনে বলা যাবে না। দেশের হয়ে একসঙ্গেই সাফল্যের মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছি আমরা। ওর পরিবারের জন্য রইল আমার সমবেদনা। জিতো তুমি শান্তিতে থেকো।’’