দেশের হয়ে অল্প কয়েকটা ম্যাচ খেলেছেন। তেমন ভাবে সফল না হওয়ায় ভারতীয় দল থেকে বাদও পড়ে গিয়েছেন। কিন্তু, পরিচিত হয়ে রয়েছেন কিছু অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য। দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় ক্রিকেটের সেই প্রতিভাবান অলরাউন্ডারকে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯৯৪-১৯৯৫ মরসুম নাগাদ ডেবিউ হয় হৃষিকেশ কানিতকরের।
এই অলরাউন্ডার দেশের হয়ে মাত্র ৩৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। মোট ৩৩৯ রান করেছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন ১৭টি উইকেট। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং তো বটেই, অফ স্পিনটাও ভালই করতেন কানিতকর।
বাঁ হাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দু’টি টেস্টও খেলেছেন।
১৯৯৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একদিনের ম্যাচে অভিষেক হয় তাঁর। ম্যাচটি ছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।
১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্নে টেস্ট ম্যাচে ডেবিউ হয় কানিতকরের। অজয় জাডেজার পরিবর্তে নেওয়া হয় তাঁকে। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২১ বলে ১১ ও ৭৮ বলে ৪৫ রান করেছিলেন তিনি।
রাজস্থানের হয়ে তিনি রঞ্জি খেলতেন। ২০১৩ ডিসেম্বরে রাজ্যের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন। শেষ ম্যাচে ২০৭ বলে ৫২ রান করেছিলেন তিনি।
রঞ্জি ট্রফিতে তাঁর ২৮টি সেঞ্চুরি ভারতীয় ক্রিকেটের রেকর্ডবুকে যুগ্ম ভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
ফিল্ডিংয়েও তিনি অনবদ্য ছিলেন। ইনজামাম উল হকের একটি অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে।
২০১৫ সালের জুলাই নাগাদ অবসর নেওয়ার কিছু দিন পরই গোয়া রঞ্জি টিমের কোচ হিসাবে কাজ শুরু করেন জাতীয় দলের প্রাক্তন এই তারকা।
কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে একটি বিশেষ ইনিংস তাঁকে অমর করে রেখেছে। সেই বিশেষ ইনিংস কোনটা?
১৯৯৮ সাল। ঢাকায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা ছিল ভারতের। ইনডিপেন্ডেন্স কাপ ফাইনালে তাঁর হাত ধরেই ভারত জয় পায়। ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাকলিন মু্স্তাককে চার মেরে দেশকে জেতানো ইনিংস আজও সবাই মনে রেখেছেন।
বিসিসিআইয়ের হয়ে পূর্বাঞ্চলে সফল শিবির করেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও আইপিএলের নবম সেশনে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসকে প্রশিক্ষণও দিয়েছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান তামিলনাড়ুর রাজ্য দলের কোচ হয়েছেন কানিতকর। তাঁর সময়ে তামিলনাড়ুর পারফরম্যান্স মোটামুটি ভালই ছিল। চলতি বছরও তামিলনাড়ুর কোচ ছিলেন তিনি।
প্রথমে মহারাষ্ট্র, পরে মধ্যপ্রদেশ, শেষে রাজস্থানের হয়ে খেলতেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বলা হয় তাঁকে, ১৪৬টি ম্যাচে ১০ হাজার ৪০০ রান করেছেন তিনি। গড় ৫২-এর চেয়ে খানিকটা বেশি।
২০১১ ও ২০১২ সালে রাজস্থানের রঞ্জি ট্রফি জয়ে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। রঞ্জিতে তিনি ১০৫টি ম্যাচ খেলে ৮ হাজার ৫৯ রান করেছেন।
হৃষিকেশের বাবা হেমন্ত কানিতকর ১৯৭৪-১৯৭৫ মরসুমে দেশের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্ট ম্যাচে খেলেছিলেন। ২০১৫ সালে প্রয়াত হন হেমন্ত।