(বাঁ দিকে) মেরি কম এবং কারুং ওঙ্খোলের (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মেরি কমের সুখের সংসারে ভাঙন? ছ’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বক্সার বেশ কিছু দিন হল স্বামী কারুং ওঙ্খোলের সঙ্গে থাকেন না। দূরত্ব বেড়েছে তাঁদের মধ্যে। দ্রুত তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদের রাস্তায় হাঁটতে পারেন। শোনা যাচ্ছে, প্রায় ২০ বছরের বৈবাহিক জীবন শেষ হওয়ার নেপথ্যে মেরির নতুন প্রেমিক।
মেরি বা ওঙ্খোলের কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। মণিপুরের সাংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সব কিছু আর আগের মতো নেই। ২০২২ সালে মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ওঙ্খোলে। নির্বাচনে জিততে পারেননি। একই সঙ্গে তাঁর বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়। মূলত তা নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। চার সন্তানকে নিয়ে অলিম্পিক্স পদকজয়ী বক্সার এখন থাকেন ফরিদাবাদে। অন্য দিকে, ওঙ্খোলের তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিল্লিতে থাকেন।
শোনা যাচ্ছে, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন মেরি। নিজের ব্যবসায়িক সহযোগী এবং মেরি কম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিতেশ চৌধরি তাঁর নতুন প্রেমিক। হিতেশ আবার মেরির এক সতীর্থের স্বামী। মেরি এবং হিতেশকে কিছু দিন ধরে একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে। কিছু দিন আগে তাঁরা একসঙ্গে দুবাইয়েও গিয়েছিলেন। হিতেশের সঙ্গে সম্পর্কও মেরির বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। মেরি যেমন বিবাহবিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে জানাননি, তেমনই নতুন সম্পর্কের কথাও বলেননি। হিতেশের তরফ থেকেও কিছু বলা হয়নি।
২০০০ সালে মেরি এবং ওঙ্খোলের পরিচয় হয়। পরে প্রেম এবং ২০০৫ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। ওঙ্খোলের ছিলেন ফুটবলার। বক্সার মেরির সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকায় তিনি নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দেন। মেরি যাতে বক্সিংয়ে পুরো সময় দিতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য বিয়ের পর বাড়ির সব কাজ করলেন ওঙ্খোলের। সন্তানদের বড় করার দায়িত্বও তুলে নিয়েছিলেন নিজের ঘাড়ে। একাধিক সাক্ষাৎকারে মেরি তাঁর বিশ্বসেরা বক্সার হওয়ার নেপথ্যে ওঙ্খোলের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। ফলে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনার খবরে বিস্ময় তৈরি হয়েছে ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে।