মার্কেটা ভন্দ্রোসোভা। ছবি: টুইটার।
বিড়ালের দেখাশোনা করার জন্য উইম্বলডনের শুরু থেকে মার্কেটা ভন্দ্রোসোভার সঙ্গে থাকতে পারেননি তাঁর স্বামী স্টেপান সিমেক। তাঁকে থাকতে হয়েছিল প্রাগের বাড়িতেই। ভন্দ্রোসোভা উইম্বলডন ফাইনালে ওঠার পর তিনি আর দূরে থাকতে পারেননি। স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য চলে আসেন লন্ডন। শনিবার স্ত্রীকে সারাক্ষণ সমর্থন করেছেন গ্যালারি থেকে। ভন্দ্রোসোভা প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পর আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি স্টেপান।
টেনিসের ওপেন যুগে প্রথম অবাছাই মহিলা খেলোয়াড় হিসাবে উইম্বলডন জয়ের নজির গড়েছেন চেক প্রজাচন্ত্রের ভন্দ্রোসোভা। চার বছর আগে ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠেও খেতাব জিততে পারেননি। নিজের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে আর ভুল করেননি ২৪ বছরের ভন্দ্রোসোভা।
২০২২ সালের ১৬ জুলাই স্টেপান এবং ভন্দ্রোসোভার বিয়ে হয়। অর্থাৎ, প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর আগের দিন প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। স্বামীর কাঁদার কথা জানিয়েছেন ভন্দ্রোসোভাই। বলেছেন, ‘‘খেলা শেষ হওয়ার পর যখন বক্সে গেলাম তখন দেখলাম স্টেপানের চোখে জল। মুখোমুখি হওয়ার পরও কেঁদে যাচ্ছিল। প্রথম বিবাব বার্ষিকীর আগের দিন এই জয় আমাদের দু’জনের জন্য অসাধারণ অনুভূতি।’’ স্বামীকে নিয়ে বলেছেন, ‘‘আট বছর আমাদের পরিচয়। কখনও এ ভাবে কাঁদতে দেখিনি ওকে। বিয়ের দিন আনন্দে একটু কেঁদে ছিল। তবে এতটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখিনি কখনও।’’
ভন্দ্রোসোভার যখন কথা বলছিলেন, তখন বার বার টেলিভিশনের ক্যামেরা ধরেছে স্টেপানকে। দেখা গিয়েছে তাঁর আনন্দ অশ্রু। মুখে তৃপ্তির হাসি। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন স্ত্রীর দিকে। তাঁর লন্ডন আসা যে ব্যর্থ হয়নি, তা বোঝা যাচ্ছিল মুখ দেখেই। গোটা গ্যালারি অভিনন্দন জানিয়েছে স্টেপানকে। শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর জন্য।
খেলার জন্য বেশ কিছু বাড়ির বাইরে রয়েছেন ভন্দ্রোসোভা। দেখা হয়নি প্রিয় পোষ্য ফ্রেঙ্কির সঙ্গে। উইম্বলডন জয়ের পর তার জন্যও বিশেষ উপহার নিয়ে যাবেন ভন্দ্রোসোভা। সেমিফাইনালে জেতার পর ভন্দ্রোসোভা বলেছিলেন, ‘‘শুক্রবার স্টেপান আসছে আমার বোনের সঙ্গে। বিড়াল দেখাশোনা করে এমন এক কর্মীকে আমি বলে দিয়েছি মাঝের এই সময়টায় সামলাতে। ফাইনালে ওকে দর্শকাসনে দেখতে চাই।’’
স্ত্রীর পাশে থাকতে স্টেপান চলে এসেছিলেন লন্ডন। প্রতি দিন একাধিক বার ফোনে কথা হলেও অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের গ্যালারিতে বসে স্ত্রীর একটাই ম্যাচ দেখার সুযোগ পেলেন। আর সেই ম্যাচেই ওপেন যুগে প্রথম অবাছাই উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন (মহিলাদের) হয়ে নজির গড়েছেন ডব্লুউটিএ র্যাঙ্কিংয়ে ৪২ নম্বর চেক তরুণী।