মারিয়া শারাপোভা প্রথম রোম ওপেনের সেমিফাইনাল খেলেছিলেন বহু কাল আগে। তখন লাতভিয়ার রিগায় সাত বছরের একটা মেয়ের বেশির ভাগ সময়ই কাটত নাচের ক্লাসে।
কে জানত সেই মেয়ে, আজকের ইয়েলেনা অস্তাপেঙ্কো, একদিন টেনিসে নাম করবেন। শুধু নাম করবেন না, র্যাঙ্কিংয়ে একেবারে পাঁচে চলে আসবেন। এমনকী মারিয়া শারাপোভাকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেন।
অবশ্য রুশ সুন্দরীকে চ্যালেঞ্জ জানানোয় তেমন অস্বাভাবিকত্ব নেই। গত বছরই তো রোলাঁ গারোজে ট্রফি ধরেছিলেন লাতভিয়ার এক নামী ফুটবলারের মেয়ে ইয়েলেনা।
বরং দেখার ছিল, ডোপ করা, নির্বাসন ইত্যাদি ঝামেলার পরে নিজেকে ফিরে পাওয়ার নিরন্তর সাধনায় ডুবে থাকা শারাপোভা হালফিলে এই প্রথম কোনও বড় মঞ্চে সেমিফাইনালে উঠতে পারেন কি না।
সেটা অবশ্য পারলেন মারিয়া। তবে প্রথম সেটে হেরে রীতিমতো কেঁপে গিয়ে। ম্যাচের স্কোরলাইনই তার প্রমাণ। শারাপোভা জিতেছেন ৬-৭(৬-৮), ৬-৪, ৭-৫ সেটে। প্রথম সেটে তো ইয়েলেনার ক্ষিপ্রতার সামনে নাকানিচোবানি খাচ্ছিলেন। অনেকে বলেন, ছেলেবেলায় ব্যালে নাচতেন বলেই ইয়েলেনা কোর্টে এত দ্রুত বলের কাছে পৌঁছন। বৃহস্পতিবার যে কারণে দ্বিতীয় আর তৃতীয় সেটে পিছিয়ে থেকেও সারাক্ষণ প্রতিপক্ষকে ধাক্কা দিয়ে গেলেন।
এ হেন কঠিন ম্যাচ বের করে স্বভাবতই উল্লসিত শারাপোভা। তার উপর এমন একজনের বিরুদ্ধে, যিনি কিনা তাঁর ‘চিরশত্রু’ সেরিনা উইলিয়ামসকে রোল মডেল করে নিজেকে ধারাল করেছেন, করছেনও। ম্যাচ শেষে মারিয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘‘এখন সব চেয়ে বড় লক্ষ্য রোলাঁ গারোজের বাছাই তালিকায় উপরের দিকে জায়গা পাওয়া।’’