গোলের পাস বাড়িয়ে চর্চায় স্তেগান। ছবি: এএফপি।
বার্সেলোনার গোলকিপার স্তেগান বুঝিয়ে দিলেন গোলকিপারও প্লে মেকার হতে পারেন। আধুনিক ফুটবলে গোলকিপার শুধু গোল বাঁচান তা নয়, তাঁর পা থেকেই শুরু হয় আক্রমণ। বার্সার গোলকিপার স্তেগান সেটাই যেন প্রমাণ করলেন লা লিগায় গেতাফের বিরুদ্ধে ম্যাচে।
এই ম্যাচে নামার আগে চোটের কবলে ছিলেন বার্সার মহাতারকা লিয়োনেল মেসি ও আনসু ফাতি। মেসি ও ফাতি না থাকায় সমর্থকদের চিন্তা বেড়ে গিয়েছিল। বার্সেলোনা কি জিততে পারবে? এ রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মনে। জিততে অবশ্য সমস্যা হয়নি বার্সার। সুয়ারেজ ও ফিরপোর গোলে বার্সেলোনা ২-০ হারায় গেতাফেকে।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট চারেক আগে গেতাফের ডিফেন্ডার বার্সার রক্ষণে লম্বা বল ভাসিয়েছিলেন। বিপদের গন্ধ পেয়ে স্তেগান এগিয়ে এসে বলটা প্রথমে নিজের দখলে আনেন।
আরও পড়ুন: পিয়ারলেসের প্রায় মুঠোয় লিগ, ট্রফি ছিনিয়ে নিতে সাত গোলে জিততে হবে ইস্টবেঙ্গলকে
তার পরেই লুইস সুয়ারেজকে লক্ষ্য করে লব করেন। বলটা মারার আগেই স্তেগান দেখে নিয়েছিলেন সুয়ারেজের পজিশন। বার্সার উরুগুয়ান তারকা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন তাঁকে লক্ষ্য করেই বলটা বাড়াবেন স্তেগান। আগুয়ান সুয়ারেজকে থামানোর জন্য গেতাফে গোলকিপার গোলের মুখ ছোট করে বেরিয়ে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: নেপালের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি কে করলেন জানেন?
সুয়ারেজ বুদ্ধি খরচ করে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে গেতাফের জালে বল জড়িয়ে দেন। ক্লাব ফুটবলে এটিই ছিল সুয়ারেজের ৪০০তম গোল। দ্বিতীয়ার্ধের চার মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ায় বার্সা। গেতাফের গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন বার্সার কার্লেস পেরেজ। গেতাফের গোলকিপার প্রথম চেষ্টায় তা বাঁচালেও, ফিরতি শটে গোল করে যান জুনিয়র ফিরপো।