ভারত এ দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের পরামর্শ কাজে এসেছে লোকেশ রাহুলের। ছবি সংগৃহীত।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রবিবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫০। বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ব্যাটে এল ৪৭। বিতর্কের পর প্রত্যাবর্তনে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে ভরসা দিলেন লোকেশ রাহুল। একইসঙ্গে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকার দাবিও জোরাল করলেন তিনি।
রাহুল অবশ্য ‘কফি উইদ কর্ণ’ অনুষ্ঠানের বিতর্ক ভুলছেন না। হার্দিক পান্ড্য ও তিনি সেই শোয়ে মহিলাদের প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করেছিলেন বল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিল দু’জনকেই। শোকজও করা হয়েছিল। তারপর দু’জনেই হন নির্বাসিত। শর্তসাপেক্ষে নির্বাসন ওঠার পর ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ভারত এ দলে সুযোগ দেওয়া হয় তাঁকে। যা কাজে লাগান রাহুল। এবং তার পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটো টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ছিলেন তিনি।
ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে রাহুল বলেছেন, “কোনও সন্দেহ নেই, খুব কঠিন সময় গিয়েছে। ক্রিকেটার হিসেবে, ব্যক্তি হিসেবে, সবাইকেই প্রতিকূল সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমাকেও তা হয়েছে। আমি ওই সময়ে নিজের খেলা নিয়ে খাটাখাটনি করেছি। নিজের দিকে নজর দিয়েছি।”
হার্দিক পান্ড্য সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন
আরও পড়ুন: ১৫ সিরিজে ছিলেন অপরাজিত, ঘরের মাঠে এটাই বিরাটের প্রথম সিরিজ হার
আরও পড়ুন: ১৫ সিরিজে ছিলেন অপরাজিত, ঘরের মাঠে এটাই বিরাটের প্রথম সিরিজ হার
কী ভাবে এই বিতর্ক ব্যক্তি হিসেবে পাল্টে দিয়েছে তাঁকে? ২৬ বছর বয়সী বলেছেন, “আমাকে এই বিতর্ক নম্র করে তুলেছে। দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া যে কতটা সম্মানের, সেই উপলব্ধি এসেছে। দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন প্রত্যেক শিশুই দেখে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। মাথা নীচু করে ক্রিকেট নিয়ে খেটে যাওয়া, সুযোগগুলো কাজে লাগানোর মূল্য বুঝেছি।”
ভারত এ দলে কোচ হিসেবে তিনি পেয়েছিলেন আর এক রাহুল, রাহুল দ্রাবিড়কে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম কিছু সময়। এই সময়ে আমার কোথায় সমস্যা হচ্ছে, সেদিকে নজর দিয়েছিলাম। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে প্রচুর সময় কাটিয়েছিলাম এই সুযোগে। ক্রিকেট নিয়ে নানা কথা হয়েছি। নিজের ব্যাটিং নিয়ে খেটেছিলাম। ভারত এ দলের হয়ে যে পাঁচ ম্যাচ খেলেছিলাম, তাতে এর সুফল পেয়েছিলাম। ”
ওই বিতর্ককে এখন আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন লোকেশ রাহুল। তাঁর কথায়, “আশা করছি, এটা আশীর্বাদ হয়েই দেখা দেবে। এমন ঘটনা ঘটে থাকে। আমি টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে চার-পাঁচ বছর রয়েছি। অনেক কিছু শিখেছি। জানি ক্রিকেটার হিসেবে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, ব্যক্তি হিসেবেই বা কোথায় অবস্থান। আমি তাই আরও ভাল হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি, ধারাবাহিক থাকতে চাইছি, নিয়মিত পারফরম্যান্স করে যেতে চাইছি।”
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)