সাংবাদিক বৈঠকে মেসি। ছবি টুইটার
শেষ হল মেসির সাংবাদিক বৈঠক। সাংবাদিকরাও মেসির নাম ধরে জয়ধ্বনি দিতে লাগলেন। আল খেলাইফির সঙ্গে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন মেসি।
দীর্ঘদিন ধরে ফুটবল খেলছি। আগের থেকে অনেক পরিণত হয়েছি। তবে এটুকু বলতে পারি, ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতি যে ভালবাসা ছিল, এখানে এসেও সেটাই থাকবে।
পোচেত্তিনোর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এখানে আর্জেন্টিনার অনেকে রয়েছে। ওঁর সঙ্গেও আমার সম্পর্ক খুবই ভাল। অনেকদিন ধরে ওঁকে চিনি। আবার বলছি, এঁদের সবার কারণেই এই ক্লাবকে বেছে নিয়েছি।
তখনও জানতাম না কোন ক্লাবে যোগ দেব। কিন্তু তার আগেই সমর্থকদের বলেছিলাম ওদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওরা জানত আমি কোনও শক্তিশালী দলেই যোগ দেব এবং ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্য ঝাঁপাব। আমার এবং এই ক্লাবের একই লক্ষ্য, ক্রমশ সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। যদি বার্সেলোনায় কোনওদিন ম্যাচ খেলতে যাই তাহলে খুব ভাল লাগবে। তবে নিজের ঘরে অন্য জার্সি পরে খেলতে একটু অদ্ভুত লাগবে।
আমি বরাবরই ফরাসি লিগের খেলা দেখি। কারণ পিএসজি-তে আমার বন্ধুরা রয়েছে। অন্য ক্লাবেও রয়েছে। প্যারিসের কারণেই এই লিগ অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে। লিগ ওয়ানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছে প্যারিস।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল প্যারিস। কিন্তু এই প্রতিযোগিতা জেতার জন্য ভাগ্যেরও দরকার হয়। অনেক সময় সেরা ক্লাবরাও জিততে পারে না। আমি প্যারিসকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাফল্য দেওয়ার জন্য এসেছি। বার্সেলোনায় সব কিছুই পেয়েছি। এখানে এসে আবার নতুন করে সব পেতে চাই।
ড্রেসিংরুমে আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। যাদের পাশে আমি খেলতে চেয়েছিলাম এখানে এসে তাদের পাচ্ছি। উত্তেজনা হওয়া স্বাভাবিক। নেমার তো রয়েছেই, সঙ্গে দি মারিয়া, পারেডেসরাও রয়েছে। এই ক্লাব বেছে নেওয়ার পিছনে ওরাই আসল কারণ।
মেসি বললেন, “যাঁরা আমার জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে গলা ফাটাচ্ছেন, তাঁদের নিয়ে আমি আপ্লুত। স্পেনে এই জিনিস দেখে এসেছি। এখন প্যারিসে এসেও সমর্থকদের উন্মাদনা দেখছি। এমনকী, এখানে আসার আগেই যে আমাকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে গিয়েছিল সেটাও জানি।”
“গত এক সপ্তাহে যা হল তা বেশ অদ্ভুত। খুব দ্রুতগতিতে সব হয়ে গেল। এখন আমার সামনে নতুন জীবন। এখানে আসতে পেরে খুশি। অনেক আবেগ, অনেক অনুভূতি এই ক’দিনে হয়েছে।”
ভাবছেই পারছি না ওর সঙ্গে রোজ খেলার সুযোগ পাব। রোজ আমরা একসঙ্গে অনুশীলনে নামব। যারা ছিল তাদের থেকেও ভাল সই হয়েছে এবার। সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে খেলতে পারব।
মেসি বললেন, “এখনও জানি না। আমি ছুটিতে রয়েছি। প্রায় এক মাস হয়ে গেল খেলিনি। গত কাল কোচের সঙ্গে দেখা হল। জানি এখন আমাকে একা একাই প্রাক মরশুমের প্রস্তুতি সারতে হবে। আমি খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। তবে তারিখ এখনই জানাতে পারছি না।”
অনেকেই বলছেন বার্সেলোনা ছাড়া কঠিন ছিল। তবে এই ক্লাবে আসতে পেরে আমি খুশি। অনুশীলন করার জন্য তর সইছে না। সতীর্থদের সঙ্গে আগে দেখা করতে চাই।
পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করতে এলেন মেসি। সঙ্গে তিন সন্তান, স্ত্রী এবং বাবা রয়েছেন।
মাত্র ২৪ ঘণ্টা হল প্যারিসে এসেছেন তিনি। কিন্তু এর মধ্যেই গোটা শহরের মনপ্রাণ জুড়ে তাঁর নাম। এতটাই যে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও নেমারের নাম ভুলে গিয়েছে প্যারিস। কারণ বিশ্বের সেরা ফুটবলার এখন তাঁদের দলে।