দ্বিতীয় গোলের সেই মুহূর্ত। মেসিকে ধাওয়া করছেন বেটিসের তিন ডিফেন্ডার। ছবি: এএফপি।
লিয়োনেল মেসির গোল দেখে আর স্থির থাকতে পারলেন না রিয়াল বেটিসের সমর্থকরা। উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরাও অভিনন্দন জানালেন বার্সার প্রাণভোমরাকে।
মেসির ম্যাজিক মিলিয়ে দেয় যে সবাইকে! ওরকম মায়াবী গোল দেখার জন্য হাজার মাইল হেঁটে আসা যায়। খেলার ৮৫ মিনিটে বেটিসের বক্সের সামান্য ভিতর থেকে হাল্কা চিপ করেন এলএম টেন।
আপাতদৃষ্টিতে নির্বিষ ওই চিপ যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে, তা কি আর কেউ জানতেন! গোলকিপার লোপেজ শরীর ছুড়েও বলের নাগাল পাননি। গোল করা যে এত সহজ, তা মেসিকে না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবেন না।
লা লিগায় বেটিসের বিরুদ্ধে বার্সার মহাতারকার শেষটা খুবই সুন্দর। শুরুটাও মন্দ নয়। ফ্রি কিক থেকে মেসির ‘ক্ষেপণাস্ত্র’ খুঁজে পায় বেটিসের জাল। খেলার বয়স তখন ১৮ মিনিট। মেসির দ্বিতীয় গোলটি লুইস সুয়ারেসের সঙ্গে বোঝাপড়ার ফসল। উরুগুয়ান তারকার নিখুঁত ব্যাকহিল খুঁজে পায় মেসিকে। পিছন থেকে উল্কার গতিতে ছুটে এসে গোল করে যান বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সিধারী।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর জন্য ঢালাও প্রশংসা। মেসিকে যা বললেন মারাদোনা...
৬৩ মিনিটে সুয়ারেস একক দক্ষতায় ৩-০ করেন। অথচ, মেসির আলোয় ঢাকা পড়ে গেল সুয়ারেসের গোলও। আর্জেন্টাইন তারকার হ্যাটট্রিকের আগে লোরেন সান্ত্বনা গোলটি করেন বেটিসের হয়ে। ৮৫ মিনিটে মেসির সেই মায়াবী চিপ।
ফুটবলবিশ্বে যার প্রশংসা হচ্ছে এখনও। মরসুমের শুরুর দিকে এই বেটিসের কাছেই হারতে হয়েছিল মেসি-র্যাকিটিচদের। মেসি জ্বলে ওঠায় সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়াও হল, সেই সঙ্গে পয়েন্ট তালিকায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের থেকে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে গেল বার্সেলোনা।
(চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এল ক্লাসিকো, লা লিগা, ইপিএল, বুন্দেশলিগা, সিরি এ থেকে ফিফা বিশ্বকাপ - ফুটবল জগতের সব খবর আমাদের খেলা বিভাগে।)