লিয়োনেল মেসি। ফাইল ছবি
অন্ধকার ঘরে চাদরমুড়ি দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎই হইহই করে চিৎকার করতে করতে সেই ঘরে ঢুকে পড়লেন সতীর্থরা। শুনে ধড়মড় করে উঠে বসলেন তিনি। সতীর্থদের আগমনের খবর শোনার পর অবশ্য তাঁর মুখে একগাল হাসি।
বৃহস্পতিবার জন্মদিনটা এভাবেই কাটালেন লিয়োনেল মেসি। রাতে তিনি যখন ঘুমোচ্ছেন, তখনই হাতে উপহারের প্যাকেট এবং শ্যাম্পেনের বোতল নিয়ে ‘হ্যাপি বার্থডে’ গাইতে গাইতে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন সতীর্থরা। আলো জ্বালিয়ে সমস্বরে মেসিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সতীর্থদের থেকে এ রকম উপহার পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন মেসি। প্রত্যেকের উপহার খুলে খুলে দেখতে থাকেন। সেখানেও একপ্রস্থ মজা। বাকিরা মেসিকে তাঁর পছন্দের সুগন্ধি, খাবার ইত্যাদি উপহার দিলেও এক সতীর্থ তাঁকে উপহার দেন স্যানিটাইজারের বোতল। মেসির অন্যতম পছন্দের সতীর্থ অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া তাঁকে একটি কালো রংয়ের টুপি উপহার দেন।
প্রায় প্রত্যেকবারই জাতীয় দলের সঙ্গেই জন্মদিন কাটিয়েছেন মেসি। শুরু সেই ২০০৪ থেকে। সে বার জন্মদিনের পরের দিনই আর্জেন্তিনা ফুটবল সংস্থার সরকারি অনুশীলন কেন্দ্রে প্রথম বার প্রবেশ করেছিলেন তিনি। কালক্রমে শুধু আর্জেন্তিনা, বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হয়ে উঠেছেন। চারটে বিশ্বকাপ এবং ছ’টি কোপা আমেরিকায় নিজের জন্মদিন পালন করেছেন জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে।
তবে এটাই সম্ভবত শেষ বার। সামনের বছর বিশ্বকাপ হবে অক্টোবর-নভেম্বরে। জাতীয় দলের জার্সিতে সেটাই হয়তো মেসির শেষ অভিযান হতে চলেছে। কোপা আমেরিকায় আগামী মঙ্গলবার ভোরে মেসিদের প্রতিপক্ষ বলিভিয়া।