র্যাঙ্কিং যাই হোক এখনও ভাল খেলছেন, দাবি লিয়েন্ডারের।
পরের প্রজন্মকে জায়গা দেওয়া
ডেভিস কাপ দলে তরুণ খেলোয়াড়দের তৈরি করাটা কতটা প্রয়োজন, সেটা আমি জানি। কিন্তু তাদের তো সেই জায়গাটা অর্জন করতে হবে। ইউকি ভামব্রি আর রামকুমার রামনাথন সিঙ্গলসে নিজেদের জায়গাটা অর্জন করেছে। টেনিস একটা পেশাদার খেলা। আমার মনে হয় এটিপি ট্যুরে খেলার ক্ষমতা এখনও আমার রয়েছে। এখনও মনে করি, র্যাঙ্কিং যাই বলুক, আমি ভালই খেলছি। সেটা আমাদের শেষ দুটো ডেভিস কাপ টাইয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখলেই বোঝা যাবে। দল নির্বাচনটা নির্ভর করে ফর্ম আর র্যাঙ্কিংয়ের উপর। এর মধ্যে কোনটা কখন কী অবস্থায় থাকবে, কেউ জানে না। তা ছাড়া দল নির্বাচন নিয়ে শেষ কথা বলবে সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থা (এআইটিএ) আর নির্বাচকেরা।
রেকর্ড হল না পুণেতে
কোর্টে নামলে লক্ষ্য একটাই থাকে— টাই জিততে হবে টিমের জন্য। ঝাঁপাতে হবে দেশের জন্য। ডাবলস রেকর্ড হলে হবে। জেতা বা হারা তো থাকেই খেলায়। আমি নিশ্চিত, রেকর্ডটা ভাঙার আর একটা সুযোগ পাব।
নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন মহেশ
মহেশকে নিয়ে উদ্বেগ নেই লি-র।
নতুন নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসাবে মহেশ (ভূপতি) আসছে বলেই আমি জায়গা পাব না, এটা বলা যায় না। ওই যে বললাম, দল নির্বাচনটা এআইটিএ আর নির্বাচকদের উপরে নির্ভর করে। নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন দলের দায়িত্ব পায় টাইয়ের সময়। তবে কথাটা বলার পাশাপাশি এটাও বলছি যে, মহেশ খুব ভাল ক্যাপ্টেন হবে। ওর অনেক সাফল্য আছে, অভিজ্ঞতাও আছে। আমি নিশ্চিত মহেশ চাইবে সেরা দলটাই নামুক।
ইউকিদের নিয়ে পর্যবেক্ষণ
ওরা দু’জনই দ্রুত উন্নতি করছে। ভাল টেনিস খেলছে। ইউকি মাথা ঠান্ডা রেখে এগোচ্ছে। রামকুমার আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলছে। ডেভিস কাপে যে কোনও ফলই হতে পারে। ওরা দু’জনেই তরুণ আর ওদের হাতে অনেক সময় আছে নিজেদের আরও উন্নত করে তোলার। আমার মনে হয় সময় দেওয়া হলে ওরা ভারতকে বিশ্বগ্রুপে তুলে আনতে পারবে।
এ মরসুমের লক্ষ্য
সবচেয়ে আগে আমাকে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে হবে। যাতে এটিপি ট্যুরে সরাসরি খেলার যোগ্যতা পাই। তাতে আশা করি ডেভিস কাপ দলে আমার জায়গাটাও পাকা হবে। মিক্সড ডাবলসে মার্টিনার (হিঙ্গিস) সঙ্গে খারাপ খেলছি না। এ বার ডাবলসেও ভাল খেলতে হবে। সে জন্য ডাবলসে আমার একটা ভাল সঙ্গী চাই।
পর্দায় কি আবার দেখা যাবে
এখন শুধু টেনিসে মনসংযোগ করছি। টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার পর হয়তো আবার অভিনয় করব।
আরও পড়ুন:
বিশ্বাস রাখো স্বপ্ন ছুঁতে পারবে, বললেন বিরাট
অবসর নিয়ে পরিকল্পনা
আমার সমস্তটাই টেনিস। যত দিন পায়ে গতি থাকবে, মন টেনিসে ফোকাস করবে এবং অনুপ্রেরণা থাকবে, ততদিন খেলা চালিয়ে যেতে চাই। আমার স্পনসরদের জন্য আরও বছর দু’য়েক খেলে যাওয়ার দায়িত্ব আছে। তাই অন্তত দু’বছর আমি খেলার দুনিয়ায় থাকছিই। তার পর কে বলতে পারে, কী হবে! দু’বছর পরে সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।