অনুশীলনে বিন্দাস মুডে কোচ-অধিনায়ক। ছবি:পিটিআই।
চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগে টিম ম্যানেজমেন্টের মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে একটাই। মুরলী বিজয়ের পর পর একই রকম বলে আউট হওয়া। যদিও এই আলোচনায় আপাতত জল ঢেলে দিয়েছেন দলের হেড কোচ অনিল কুম্বলে। বিজয় প্রসঙ্গে তিনি কিন্তু তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর সাফল্যের কথাও। অনিল কুম্বলে বলেন, ‘‘বিজয় আমাদের সব থেকে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান। ও সিরিজ দারুণভাবে শুরু করেছিল। রাজকোটে সেঞ্চুরি করেছিল। ওর একই রকম বলে আউট হওয়াটাকেই পয়েন্ট করা হচ্ছে। আমার মনে হয় এটা ঠিক নয়। মুরলী বিজয় খুব দ্রুত বড় রান পাবে।’’ টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে সাহায্য করছে সমস্যা কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে।
প্রথম থেকেই ওপেনিং জুটি বার বার পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। চোটের জন্য কখনও শিখর ধবন তো কখনও লোকেশ রাহুল। কখনও গৌতম গম্ভীর আবার পার্থিব পটেল।গত ম্যাচে পার্থিব পটেল খেললেন ফিরে আসছেন লোকেশ। আবার পরিবর্তন। তবে এটারও ভাল দিক দেখছেন কুম্বলে। বলেন, ‘‘চোট-আঘাত কারও হাতে থাকে না। এটা ঠিক জুটি তৈর করতে হয়। কিন্তু এই সমস্যার মধ্যেও আমরা ভাল করেছি। বিশাখাপত্তনমে লোকেশ চোটের জন্য ছিটকে গেল। পার্থিব এল মোহালিতে। এবং দারুণ খেলল। তবে রাহুল আজই চলে আসছে। আমার বিশ্বাস ও পুরোপুরি সুস্থ। দেখা যাক কী হয়।আমাদের কাছে তিনরকম ওপেনিং জুটি রয়েছে।’’
শুধু ওপেনিং জুটি নয় দলের বোলিং নিয়েও উচ্ছ্বসিত কুম্বলে। সঙ্গে বিরাট কোহালিরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শোনা গেল কুম্বলের গলায়। বলেন, ‘‘আমাদের বোলিং আক্রমণ ও বিরাটের অধিনায়কত্বে ফিল্ড সেটিংকে স্যালুট করতে হবে। শেষ কয়েকটি টেস্ট ম্যাচে সব বোলাররাই নিজের নিজের ভূমিকা রেখে গিয়েছে। আমি কারও সঙ্গে কারও তুলনা করতে ভালবাসি না। সকলেই নিজের জায়গায় সেরাটা দিয়ে গিয়েছে।’’ পাশাপাশি লোয়ার অর্ডার ব্যাটিংয়েরও প্রশংসা করেছেন তিনি।যে ভাবে ১৫০/৫ থেকে ৪০০তে রান নিয়ে গিয়েছে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সেটা আবারও মনে করিয়ে দিলেন তিনি। সেই তালিকায় অশ্বিন, জাদেজা থেকে নবাগত জয়ন্ত যাদবও রয়েছেন।
আরও খবর
জয়ার মৃত্যুতে চেন্নাই টেস্ট নিয়ে সংশয়ে বোর্ড