বারপুজোর সেই জৌলুস কোথায়

ঐতিহ্য মেনে পয়লা বৈশাখে বারপুজো হয়। শনিবারও হল। কিন্তু উৎসবের সেই পুরনো জৌলুসটা যেন আর খুঁজে পাওয়া গেল না। কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির ময়দানি ফুটবলের বছর বছর ধরে চলা সেই নষ্টালজিয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪০
Share:

শুভারম্ভ: ময়দানে ঐতিহ্য মেনে দুই প্রধানে বারপুজো। নিজস্ব চিত্র

ঐতিহ্য মেনে পয়লা বৈশাখে বারপুজো হয়। শনিবারও হল। কিন্তু উৎসবের সেই পুরনো জৌলুসটা যেন আর খুঁজে পাওয়া গেল না। কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির ময়দানি ফুটবলের বছর বছর ধরে চলা সেই নষ্টালজিয়া।

Advertisement

উৎসবের সব অনুষঙ্গ কিন্তু হাজির ছিল এ দিনও। সানাই বেজেছে। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ক্লাবের গেট। পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ করে বার ও বল পুজোও হয়েছে। মিষ্টি, লুচি, ছোলার ডাল দিয়ে পাত পেড়ে খাওয়ানোর রেওয়াজও পুরোদস্তুর হাজির ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ইউনাইটেড, খিদিরপুর, ভবানীপুরের মতো বেশিরভাগ ক্লাবেই। কিন্তু সেই উপচে পড়া ভিড় বা পরের মরসুমের অধিনায়কের নাম ঘোষণার রেওয়াজ কিছুই তো নেই বা হয়নি। আসলে আই লিগ চালু হওয়ার পর ফুটবল মরসুমের সময়ের বদল ঘটে গিয়েছে। আগে মার্চে মরসুম শেষ হয়ে গেলে ১৫ এপ্রিলের বারপুজো দিয়ে শুরু হত নতুন মরসুমের কাউন্টডাউন। এখন তো ক্লাব ফুটবলের মরসুম শেষ হয় মে-তে। যাঁদের ঘিরে উৎসব হত সেই ফুটবলাররাই তো তাই থাকতে পারেন না।

আরও পড়ুন: রেহনেশের শাস্তি, ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ইস্টবেঙ্গলে

Advertisement

আজ রবিবার ইস্টবেঙ্গলের আই লিগের ম্যাচ ডি এস কে শিবাজিয়ান্সের সঙ্গে। ফলে মেহতাব হোসেন, অর্ণব মণ্ডল, লালরিন্দিকারা এসেছিলেন অনুশীলন করতে। তাঁরাই ছিলেন অ্যাকাডেমির জুনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে লাল-হলুদের বারপুজো অনুষ্ঠানে। কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান অবশ্য তখন ব্যস্ত ছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। চব্বিশ ঘণ্টা আগে ক্লাব তাঁবুতে ধুন্ধুমার হয়েছিল। টিমের খারাপ ফলের রেশে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা। এ দিন পয়লা বৈশাখের সকালে অবশ্য তার রেশ ছিল না তাঁবুতে। শান্ত পরিবেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement