কলকাতায় গোলের উচ্ছ্বাস। ছবি: ফেসবুক।
কলকাতা ১ (পিয়ারসন)
কেরল ১ (বিনিথ)
লক্ষ্য ছিল জিতেই সেমিফাইনালে যাওয়া। কিন্তু তেমনটা হল না। ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেই থামতে হল পোস্তিগাদের। যদিও তাতে সেমিফাইনালে যাওয়া আটকাল না অ্যাটলেটিকো কলকাতার। জানাই ছিল এক পয়েন্ট পেলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে কলকাতার। তাই হয়তো কিছুটা গা ছাড়া ভাব ছিল খেলার মধ্যে। শুরুটা অবশ্য করেছিল কেরলই। প্রায় প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখছেন সিকে বিনিথ। এদিনও শুরুতেই গোল করে কলকাতাকে সমস্যায় ফেলে দিয়েছিলেন তিনিই।
এই কলকাতা, কলকাতার পরিবেশ, কলকাতার মাঠ সবই ভীষণভাবে চেনা কেরলের এই মিডফিল্ডারের। তাই হয়তো শুরু থেকেই কলকাতার রক্ষণকে চাপে ফেলতে শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। যার ফল আট মিনিটেই গোল করে কেরলকে এগিয়ে দেওয়া। বাঁদিক থেকে মেহতাবের ক্রস লক্ষ্য করে ঝাপালেও বল দখলে রাখতে পারেননি কলকাতা গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার। সেই বলই পেয়ে গিয়েছিলেন হেংবার্ট। হেংবার্টের ফ্লিকে বিনিথের হেড সরাসরি চলে যায় গোলে। ঠিক তার দু’মিনিট আগেই অবশ্য অফ সাইডের জন্য বাতিল হয়েছিল কলকাতার গোল। সেই পিয়ারসনই সমতায় ফেরালেন দলকে।
গোল হজমের ১০ মিনিটের মধ্যেই কলকাতাকে সমতায় ফেরালেন স্টিফেন পিয়ারসন। গোলের পিছনে ভূমিকা রেখে গেলেন দলের মার্কি পোস্তিগাই। প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে গোল করাটাই পিয়ারসনের কাছে বাড়তি পাওনা। সঙ্গে দলকে সেমিফাইনালে তোলাও। হিউমের থেকে বল পেয়ে পিয়ারসনকে লক্ষ্য করে মাপা বল বাড়িয়েছিলেন পোস্তিগা। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। খেলা শেষ হয়ে যায় ১৮ মিনিটেই। এর পর আর কেউই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। তেমনভাবে সুযোগও তৈরি করতে পারেনি কেউ। মুম্বই, দিল্লির পর কলকাতাও চলে গেল সেমিফাইনালে।
আরও খবর
মঙ্গলবারই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে তৈরি পোস্তিগারা