গোল করে কেরলকে ফাইনালে তোলার পর রফিকের উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লি ২
কেরল ১
মোট গোল: ২-২ (টাইব্রেকার: কেরল ৩ – দিল্লি ০)
এ যেন ২০১৪র পুনরাবৃত্তি। সেই কলকাতা, সেই কেরল, সেই আইএসএল ফাইনাল। মাঝের নামটা সেই মহম্মদ রফিক। প্রথম আইএসএল-এ মহম্মদ রফিকের গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অ্যাটলেটিকো দ্য কলকাতা। তৃতীয় আইএসএল-এ সেই রফিকই পেনাল্টি থেকে গোল করে কেরলকে ফাইনালে তুলল। ফাইনালে রফিকদের প্রতিপক্ষ সেই কলকাতা। পুরনো দলের বিরুদ্ধেই খেলতে নামবেন রফিক। আবারও ফাইনাল। তাও আবার কেরলের ঘরের মাঠে। কলকাতাকে খেলতে হবে মাঠের বাইরের ভর্তি গ্যালারি আর মাঠের মধ্যের ১১ জনের সঙ্গে।
আরও খবর:- গোলশূন্য ম্যাচে খলনায়ক ফুটবলারদের হাতাহাতি, ফাইনালে কলকাতা
প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল কেরল। একটি হোম গোল নিয়ে এগিয়েই দ্বিতীয় লেগ খেলতে নেমেছিলেন মেহতাব, সন্দীপরা। দ্বিতীয় লেগে অবশ্য ঘরের মাঠে শুরুটা করেছিল দিল্লি ডায়নামোসই। ২১ মিনিটে গোল করে দিল্লিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মার্সেলিনহো। এর দু’মিনিটের মধ্যেই কেরলকে সমতায় ফেরান নাজোন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে রুবেনের গোলে আবার এগিয়ে যায় দিল্লি। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও দলই কোনও গোল করতে পারেনি। যে কারণে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তার আগেই জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন দিল্লির মিলন সিংহ। প্রথমার্ধের শুরুতেই ১০ জনে হয়ে গেলেও হাল ছাড়েনি দিল্লি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
গোল নষ্ট করে হতাশ দিল্লির মার্সেলিনহো। ছবি: সংগৃহীত।
অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য যাওয়ার পর টাইব্রেকারে বাজিমাত করে যায় কেরল ব্লাস্টার্স। কেরলের হয়ে শুরুতেই পেনাল্টি থেকে গোল করে যান জসু কুরেস। দিল্লির হয়ে প্রথম মিস মালুদার। ক্রসবারের উপর দিয়ে মালুদার শট চলে য়ায় বাইরে। দ্বিতীয় শটেই অবশ্য কেরলের হয়ে মিস করে বসেন জার্মান। তখন আবার দিল্লি শিবিরে আশার আলো দেখা দিলেও দিল্লির হয়ে দ্বিতীয় মিস পেলিসারির। বেলফোর্ট গোল করতেই আবার এগিয়ে যায় কেরল। দিল্লির কোনও শটই গোলে যায়নি। শেষ মিস এমারসন গোমসের। তিন-তিন শটেই শেষ হয়ে যায় টাইব্রেকার। কেরলের হয়ে শেষ কাজটি করে যান মহম্মদ রফিক। ১৮ ডিসেম্বর আইএসএল ফাইনালে কোচিতে মুখোমুখি হবে কলকাতা-কেরল। নাকি সচিন-সৌরভ? ক্রিকেট পাশাপাশি দেশের হয়ে লড়াই করা ভারতীয় ক্রিকেটর দুই মহারথী এ বার আবার মুখোমুখি ফুটবলের ভারতে। ট্রফি কার বলবে সময়ই।