বিনিথের ব্যাকভলি। ছবি: সংগৃহিত।
মাঠে নামার আগেই আটলেটিকো দে কলকাতার চাপ বাড়িয়ে দিল তাদের পরের প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স।
শুক্রবার প্রাক্তন এটিকে কোচ আন্তোনিও হাবাসের বর্তমান টিম পুণে সিটিকে ২-১ হারিয়ে এক লাফে তিনে উঠে এল মেহতাব-সন্দীপ নন্দীদের কেরল। তাও আবার কলকাতার সমান ম্যাচ (১২) খেলে তাদের সমান (১৮) পয়েন্ট নিয়েই কলকাতার ঘাড়ে উঠে পড়ল সচিন তেন্ডুলকরের ব্লাস্টার্স।
রবীন্দ্র সরোবরে ২৯ নভেম্বর কলকাতা-কেরল মুখোমুখি হবে। আর সেটাই আইএসএল থ্রি-র সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হতে চলেছে।
গোয়া থেকে এ দিন সন্ধের দিকে জোসে মলিনা ব্রিগেড এক রাশ স্বস্তি নিয়ে কলকাতায় ফিরেছিল। কিন্তু পস্টিগা-হিউমদের বেশিক্ষণ স্বস্তিতে থাকতে দিল না কেরল। ঘরের মাঠে কেরল এ দিন অসাধারণ ভাবে উঠে দাঁড়ায়। মুম্বইয়ের কাছে পাঁচ গোল খাওয়ার লজ্জা ভুলতে যেন একটু বেশিই তেতে ছিল দক্ষিণ ভারতের টিমটা। ম্যাচের শুরুতেই ডাকেন্স নাজনের গোলে ১-০ করে কেরল। বিরতির পর অ্যারন ব্যবধান বাড়ান। ইনজুরি টাইমে পুণের রদরিগেজ ব্যবধান কমালেও তাতে কেরলের কিছু যায়-আসেনি। এ দিন গোলে গ্রাহাম স্টোকের বদলে ফের ৪১ বছরের সন্দীপ নন্দীর উপর ভরসা রাখেন কেরলের ব্রিটিশ কোচ স্টিভ কপেল। দিল্লির কাছে ০-২ হারের পর থেকে সন্দীপকে বসিয়ে স্টোককে খেলাচ্ছিলেন কপেল।
এ দিকে, কেরলের কাছে হারায় সেমিফাইনালে যাওয়ার আর সম্ভাবনা থাকল না হাবাসের পুণে। তাদের পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১৫। ম্যাচ বাকি একটা। কলকাতা বনাম কেরলের লড়াইয়ের পর আবার অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে কোন চারটে টিম সেমিফাইনালে পৌঁছবে। ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় কলকাতা অ্যাডভান্টেজ পেতে পারে। তার উপর মেহতাবদের দলের এ বার অ্যাওয়ে ম্যাচের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তারা মাত্র একটা ম্যাচ জিতেছে বাইরের মাঠে। হেরেছে তিনটে। ড্র করেছে দুটো ম্যাচ। এটিকে আবার কেরলে গিয়ে কপেলের টিমকে হারিয়ে এসেছে।
তবে মলিনার কপালে ভাঁজ চওড়া করছেন সেরেনো। বিদেশি ডিফেন্ডার এখনও পুরো ফিট হননি। কেরলের বিরুদ্ধে সম্ভবত পাওয়া যাবে না। এমনিতে এটিকে রক্ষণ বারবার সমালোচনার মুখে পড়ছে। বিশেষত ম্যাচের শেষের দিকে এসে তারা গোল খেয়ে যাচ্ছে প্রায় সব ম্যাচে। এর উপর কার্ড সমস্যার জন্য কেরল ম্যাচে বোরহাকেও পাওয়া যাবে না বলে টিম সূত্রের খবর। তবে হিউম আর দ্যুতি পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠেছেন। শনিবার নর্থ-ইস্ট এবং চেন্নাই মুখোমুখি হবে। যদি এই ম্যাচে নর্থ-ইস্ট পয়েন্ট নষ্ট করে, তা হলে আবার কলকাতার শেষ চার হয়তো পাকা হয়ে যাবে আজই।