উৎসবহীন মোহনবাগান দিবসে প্রাক্তনদের পুনর্মিলন। বাঁ দিক থেকে শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম সরকার, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কম্পটন দত্ত, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু ও সমরেশ চৌধুরী। ছবি: উৎপল সরকার
মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠান যে এ বার পিছিয়ে অগস্ট মাসে চলে গিয়েছে তা আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র। বুধবার ২৯ জুলাইয়ের ক্রীড়ানুষ্ঠান তাই জমল না বাগানে।
ক্লাবের খুদে ও প্রাক্তন ফুটবলার, ক্রীড়া সাংবাদিক বনাম চলচ্চিত্র অভিনেতাদের ম্যাচ হলেও অন্যান্য বছরের মতো সমর্থক-সদস্যদের জমায়েত ছিল না মোহনবাগান মাঠে। বাগানের ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য আগেই জানিয়েছিলেন তিনি যেতে পারবেন না। তবে চুনী গোস্বামী, বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যাম থাপা, গৌতম সরকার, ভাইচুং ভুটিয়া-সহ ৯১ জন প্রাক্তন সবুজ-মেরুন ফুটবলার হাজির ছিলেন এ দিন।
মজার ব্যাপার, অনুষ্ঠানে বাগান কোচ সঞ্জয় সেন না এলেও কল্যাণী ফেরত মোহনবাগান তাঁবু ঘুরে যান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। ফোনে সঞ্জয় বললেন, ‘‘সকালে প্র্যাকটিসের পর শিবদাস-বিজয়দাসদের ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। তা ছাড়া যাঁরা গিয়েছেন তাঁরা তো এই ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার। আসল অনুষ্ঠানও তো পরে হবে। তাই আজ যাইনি।’’
এ দিকে বাগান দিবসে নতুন চিন্তা ইস্টবেঙ্গলে। লালরিন্দিকার পর গুরবিন্দর সিংহ চোটের কারণে দু’ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেলেন। কলকাতা লিগের প্রথম দিকে পাওয়া যাবে না এই ডিফেন্ডারকে। তবে বৃহস্পতিবারই শহরে এসে পড়ছেন র্যান্টি মার্টিন্স। বেলো রজ্জাকের আসার কথা শুক্রবার। ফলে শনিবার থেকেই তিন বিদেশিকেই পাচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। মোহনবাগান আবার প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলছে বৃহস্পতিবার।