লোকেশ রাহুল। ছবি: এএফপি।
টেস্ট অধিনায়কত্বে প্রমাণ করে দিয়েছেন আগেই। এ বার ছিল ওয়ান ডেতে প্রমাণ করা। তাতেও একশো শতাংশ সফল তিনি। দ্বিতীয় ওয়ান ডে খেলতে নামার আগে অধিনায়ককে সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। তাঁর কথা বিরাট ‘গ্রেট লিডার’। বলেন, ‘‘ও আমাদের জন্য কী ভাবে উদাহরণ তৈরি করছে এটাই হল আসল ব্যাপার। এরকম বহুবার হয়েছে যখন ও নেমে টিমের সবার কাজটা করে গিয়েছে। আমরা ওকে দেখি আর বুঝি কী ভাবে ও নিজের ইনিংস ক্রমশ তৈরি করে। যে এনার্জি আর প্যাশন নিয়ে ও খেলে সেটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে যায়। প্রতি মুহূর্তে আমরা শিখি।’’
আরও খবর: শিশির সমস্যার মধ্যে সিরিজ জয়ই লক্ষ্য বিরাট বাহিনীর
বিরাটকে টিম ম্যান বলেই ব্যাখা করেছেন লোকেশ। বলেন, ‘‘ও এমন একজন অধিনায়ক যে ব্যাক্তিগত খেলাকে গুরুত্ব দেয় না বরং দল কী করছে সেটা নিয়ে বেশি ভাবে। ও সব সময় ওর কাজের মধ্যে দিয়ে আমাদের রাস্তা দেখায়। ওর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে আর আমাদের ফিডব্যাক দেয়। আমাদের বলে ও যেটা ভাবছে সেটা আমরা আরও ভাল করতে পারব। এটাই একজন গ্রেট লিডারের পরিচয়।’’ অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ওয়ান ডেতেই বাজিমাত করেছেন কোহালি। ৩৫০ রানের টার্গেটে পৌঁছে জয় ছিনিয়ে নেওয়াটা সহজ ছিল না। তও আবার সামনে থেকে লড়াইটা চালাতে হয়েছে নবাগত অধিনায়ককেই। ২৭তম সেঞ্চুরিটিও করে ফেলেছেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করে গিয়েছেন কেদার যাদবও। লাহুল বলেন, ‘‘এটা একটাই ম্যাচ হয়েছে এখনও। কিন্তু ওর নেতৃত্বে যারা টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে তারা জানে কতটা আক্রমণাত্মক বিরাট কোহালি। আমরা ওর নেতৃত্বে খেলতে ভালবাসি। ও সব সময় আমাকে সমর্থন করে। একজন ইয়ং লিডার পাওয়াটাও খুব ভাল। সঙ্গে এমএস ধোনিরও দলে থাকাটা বাড়তি পাওনা। যে শুধু বিরাটকে অধিনায়ক হিসেবে সাহায্য করবে তাই নয়, আমাদেরও সাহায্য করবে। দু’জনকে একসঙ্গে পাওয়াটা আমাদের জন্য খুব ভাল।’’
প্রথম ওয়ান ডে জয়ের পর বিরাট কোহালি।
নিজের জায়গা নিয়েও বেশ সংশয়ে এই ওপেনার। ওপেনিংয়ে একটা খারাপ ইনিংস যে কোনও সময় ছিটকে দিতে পারে তাঁকে। অপেক্ষায় অনেকেই রয়েছে। অজিঙ্ক রাহানের মতো ওপেনার বসে রয়েছে। রাহুল বলেন, ‘‘আমি জানি আরও অনেক ট্যালেন্টেড প্লেয়ার বসে রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙে এটা ভেবে। আর নিজেকে প্রতিদিন আরও তৈরি করে তোলার চেষ্টা করি। এটা একটা সদর্থক রাস্তা আরও ভাল করার।’’ তবে ওপেনিং কম্বিনেশন নিয়ে ভাবতে নারাজ তিনি। বলেন, ‘‘এটা আমার উপর প্রভাব ফেলে না।এটা কোচ আর অধিনায়কের বিষয়। একটা পজিশনের জন্য যে স্বাভাবিক লড়াইটা রয়েছে সেটা আমরা উপভোগ করি। আমাদের কাজ নিজেকে তৈরি রাখা আর দলের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়া।’’