২০১৪ সালের ১ জুন। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে হারিয়ে গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে দ্বিতীয় বার আইপিএল সেরার খেতাব জেতে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করে মনন ভোরা ও ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাটিংয়ের দাপটে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান করেন পঞ্জাব। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শেষ ওভারে জয় তুলে আনে নাইট দল। সেই দলের সদস্যরা কী করছেন এখন? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
গৌতম গম্ভীর। সে দিনের অধিনায়ক। বাকি টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ভরসা দিলেও, ফাইনালে ১৭ বলে করেছিলেন ২৩ রান। গত বছর আইপিএলের মাঝপথ থেকেই সরে দাঁড়ান দিল্লি দল থেকে। গত বছরেই অবসর নিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে।
রবিন উথাপ্পা। সেই ফাইনাল ম্যাচে মাত্র ৫ রান করে মিচেল জনসনের বলে আউট হন। তবে গোটা টুর্নামেন্টে ছিলেন অসাধারণ ফর্মে। বেশ কয়েকটা ম্যাচে নাইটদের ইনিংসের ওপেন করছেন কর্নাটকের এই ব্যাটসম্যান। এই মরসুমেও তিনি দলের অন্যতম ভরসা।
ইউসুফ পাঠান। সে দিনের ফাইনালে তাঁর ব্যাটিংয়েই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল নাইটদের ইনিংস। ৪টি বিশাল ওভার বাউন্ডারি আছড়ে পড়েছিল মাঠের বাইরে। ২২ বলে করেছিলেন ৩৬ রানের কার্যকরী ইনিংস। তবে গত মরসুম থেকেই সানইরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের সদস্য তিনি।
মনীশ পাণ্ডে। সে দিনের ফাইনালের নায়ক। কিংস ইলেভেনকে হারানোর পিছনে ছিল তাঁর ৫০ বলে ৯৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। মেরেছিলেন ৭টি চার ও ৬টি ছয়। তবে গত বছর থেকে তিনিও প্রাক্তন নাইট। তাঁর নতুন দল এখন সাইরাইজার্স হায়দরাবাদ।
শাকিব-আল-হাসান। সে দিন আঁটোসাটো বোলিং করলেও ব্যাটিংয়ে খুব একটা বেশি রান করতে পারেননি। তবে তাঁর ১২ রানের ইনিংসের দু’টি চার খেলার গতি ঘুরিয়ে দিয়েছিল অনেকটাই। তাঁরও নতুন দল সাইরাইজার্স হায়দরাবাদ।
রায়ান টেন দুসখাতে। কেকেআর-এর হয়ে বেশ কয়েকটি মরসুম খেলা এই ডাচ ক্রিকেটারটি ২০১৫-এর পর আর খেলেননি আইপিএলে। ওই ফাইনালে মাত্র ৪ রান করতে পেরেছিলেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগে রাজশাহির হয়ে খেলেছেন তিনি।
সূর্যকুমার যাদব। তখন উদীয়মান তারকা। ওই ফাইনালে করেছিলেন মাত্র ৫ রান। বর্তমানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের সদস্য।
পীযূষ চাওলা। ওই ফাইনালের আরেক নায়ক বলা যায়। বোলিংয়ে ২টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও আসল সময়ে ২টি বাউন্ডারি মেরে জিতিয়ে দেন দলকে। বর্তমানেও নাইট সংসারেরই সদস্য।
সুনীল নারিন। নাইটদের বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র সে দিন একটি উইকেট পেলেও ৪৬ রান দিয়েছিলেন। তবে এখনও তাঁর কার্যকারিতা প্রশ্নাতীত। নাইট সংসারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই ক্যারিবীয়।
মর্নি মর্কেল। প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার সে দিনের ফাইনালে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৪০ রান। বর্তমানে অবসর নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে।
উমেশ যাদব। কলকাতা দলের বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা ছিলেন ওই মরসুমে। ফাইনালে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৩৯ রান। বর্তমানে বিরাট কোহালির আরসিবি দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভরসা।