আইজলে আই লিগ পেয়েছেন। চলতি মরসুমে কলকাতায় কোচিং করাতে এসে সেই খালিদ জামিলের লক্ষ্য, ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসেবে ফের আই লিগ জেতা। তাই সোমবার চার্চিল ব্রাদার্সের মুখোমুখি হওয়ার আগে কোনওরকম আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল কোচ।
যোগাযোগ করা হলে খালিদ জামিল তাঁর চিরাচরিত ঘরানাতেই বলে দেন, ‘‘গোয়ার মাঠে চার্চিল ব্রাদার্সকে হালকা ভাবে নিচ্ছি না। প্রায় তিন সপ্তাহ ছুটি পেয়ে ওদের ফুটবলাররা বেশ চনমনে। ওদের নতুন আসা তিন ভারতীয় এবং বিদেশি ফুটবলাররাও বেশ ভাল।’’
আট ম্যাচের পর খালিদ জামিলের দল এই মুহূর্তে ১৭ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে। সেখানে চার্চিল ব্রাদার্স টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে পয়েন্টহীন। দশ দলের আই লিগে তাঁরা দশ নম্বরে।
কিন্তু বড় দিনের ছুটির পরেই দলবদলের বাজার শুরু হতেই নতুন স্বদেশী ও বিদেশী ফুটবলার নিয়ে ঘর গুছিয়েছে গোয়ার দলটি। দলে এসেছেন পবন কুমার-সহ তিন ভারতীয়। বিদেশিদের মধ্যে জুড়েছেন, আইভরি কোস্টের কোফি মেশাক, গত মরসুমে খেলে যাওয়া কিরঘিজ ফুটবলার বেকতুর তালগাত, গাম্বিয়ার সিসে গোয়াদা এবং লেবাননের হুসেন এলদোর। সেই জোশেই হয়তো চার্চিল ব্রাদার্স কোচ আলফ্রেড ফার্নান্দেজ বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এ বার ঘুরে দাঁড়াবে ছেলেরা।’’
গোয়ার দলটি যখন টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসে আছে, তখন খালিদ জামিলের ইস্টবেঙ্গল টানা ছয় ম্যাচ অপরাজিত এই মুহূর্তে। ডার্বি হারের পর এই ঝকঝকে পারফরম্যান্স জানান দিচ্ছে, কাতসুমিদের গোলের জন্য ঝাঁপানোর মনোভাব। পাঁচ গোল করে লাল-হলুদের এই জাপানি ফুটবলার যুগ্ম ভাবে আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাই শুধু নন, তাঁর দলও এই মুহূর্তে আই লিগে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে। ১৬ টি। ডিসেম্বরে এই দুই দল যখন কলকাতায় মুখোমুখি হয়েছিল তখন ইস্টবেঙ্গল ম্যাচটা জিতেছিল ৩-২। প্লাজার গোলে। সেই প্লাজা চার্চিলের বিরুদ্ধে খেলবেন কি? বেনোলিমের মাঠে এ দিন প্লাজা অনুশীলন করেন ফিজিও গার্সিয়ার কাছে। ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, ‘‘এখনও দশটা ম্যাচ খেলতে হবে। তাই কোনও ঝুঁকি নেবো না। সোমবার সকালে সিদ্ধান্ত নেব।’’ যদিও ইস্টবেঙ্গল শিবির সূত্রেই খবর, চার্চিলের বিরুদ্ধে প্লাজাকে রেখেই দল সাজাচ্ছেন খালিদ জামিল।