খলিল আহমেদ।—ছবি পিটিআই।
বেশি দায়িত্ব যেমন উপভোগ করেন, তেমনই বেশি চাপও নেন না। ভারতীয় দলের নতুন তারকা পেসার খলিল আহমেদের এই মানসিকতাই তাঁকে দ্রুত উন্নতির পথ দেখাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সঞ্জয় মঞ্জরেকরের মতো প্রাক্তনরাও উচ্ছ্বসিত খলিলকে নিয়ে। মঞ্জরেকরের মন্তব্য, ‘‘যে কোনও ধরনের ফিল্ডিং নিয়ে বল করতে পারে খলিল।’’
মঙ্গলবার লখনউয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নতুন বল তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। এই বাড়তি দায়িত্ব যে তাঁকে চাপে ফেলতে পারেনি, তা জানিয়ে ম্যাচের শেষে হায়দরাবাদি পেসার বলেন, ‘‘নতুন বলে বোলিং করতে হয় আমাকে। এটা অবশ্যই বা়ড়তি দায়িত্ব। এই বাড়তি দায়িত্বটা বরাবরই উপভোগ করি আমি।’’ বাড়তি চাপও নেন না তিনি। খলিল বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছি আমি। সেই সুযোগ এসেছে আমার কাছে। এখন যদি চাপে পড়ে যাই, তা হলে কখনও নিজের সেরাটা মাঠে দিতে পারব না।’’ ম্যাচের পরে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘‘খলিল নিজেই নতুন বলে বোলিং করতে এগিয়ে এসেছিল। তাই ওকে সুযোগ দিই।’’ ভুবনেশ্বর কুমারের সঙ্গে নতুন বলে বল করার সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান খলিল। শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন। মোট ৩০ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন। চাপে না পড়ার মন্ত্রটা যে শিখে ফেলেছেন, তা খলিলের কথাতেই বোঝা যায়।
ভারতের ৭১ রানে জয়ের পরে মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘আমার একমাত্র লক্ষ্য, ভারতের হয়ে ভাল খেলা। সে জন্য খেলাটাকে উপভোগ করতে হবে আমাকে। নিজের দক্ষতা নিয়ে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। যদি খেলাটাকে উপভোগ করতে পারি, তা হলে ভাল খেলার খিদেটাও বাড়বে।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে সিরিজে চার ম্যাচে সাতটি উইকেট নিয়ে সফল বোলারদের তালিকায় তিন নম্বরে থেকে সবার নজর কেড়ে নেন খলিল। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলা এই পেসার এই তালিকায় রবীন্দ্র জাডেজা ও কুলদীপ যাদবের পরেই ছিলেন।
এই সাফল্যের জন্য খলিল আইপিএল-কে অনেকটাই কৃতিত্ব দিতে চান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আইপিএলে খেললে প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। ভারতীয় দলে এসে এই অভিজ্ঞতা খুব কাজে লাগে। নিজের খেলায় বা মানসিকতায় খুব একটা পরিবর্তন করতে হয় না। কারণ, আইপিএলে অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের সঙ্গে মাঠ ও ড্রেসিংরুমে সময় কাটানোর সুযোগ পাওয়া যায়।’’