খলিলে অভিভূত অধিনায়ক

নবাবের শহরের ক্রিকেট মাঠে ব্যাট হাতে তিনিও যেন নবাবের মতোই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির সংখ্যায় শীর্ষে উঠে এলেন মঙ্গলবার। টি-টোয়েন্টিতে ঘনঘন সেঞ্চুরি সহজ না হলেও এই ধরনের ক্রিকেটে চার-চারটি শতক হাঁকিয়ে কীর্তি গড়ে ফেললেন ভারতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৫
Share:

মারমুখী: ৬১ বলে ১১১ নট আউট রোহিত শর্মা। এএফপি

নবাবের শহরের ক্রিকেট মাঠে ব্যাট হাতে তিনিও যেন নবাবের মতোই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির সংখ্যায় শীর্ষে উঠে এলেন মঙ্গলবার। টি-টোয়েন্টিতে ঘনঘন সেঞ্চুরি সহজ না হলেও এই ধরনের ক্রিকেটে চার-চারটি শতক হাঁকিয়ে কীর্তি গড়ে ফেললেন ভারতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। কিন্তু নিজের এই কীর্তি নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করলেন না রোহিত শর্মা। তাঁর মুখে শুধুই দলের কথা।

Advertisement

তাঁর আর শিখর ধওয়নের ১২০ রানের পার্টনারশিপই যে মঙ্গলবারের এই জয়ের ভিত, তা অবশ্য স্বীকার করে নিতে দ্বিধা নেই তাঁর। লখনউয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭১ রানে হারিয়ে সিরিজ জয়ের পরে রোহিত বলেন, ‘‘আমার আর শিখরের ১২০ রানের পার্টনারশিপই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই ম্যাচে। কে এল রাহুল পরে এসে শেষটা খুব ভাল করেছে।’’ গত কয়েকটি ম্যাচে ভাল শুরু করেও বড় রান করতে না পারা শিখর ধওয়নকে এ দিন অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে রোহিতের। ধওয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বোলারদের চাপে ফেলাই ওর স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। কয়েকটা ম্যাচে খারাপ আউট হওয়ার পরে আজ ও একটু সময় নিতে চাইছিল। আর ও ছন্দ পেয়ে গেলে বোলারদের কাজ কঠিন হয়ে যায়।’’

এ দিন শুরুর দিকে তিন-চার ওভার তেমন গতিময় ব্যাটিং না করা নিয়ে রোহিত বলেন, ‘‘এটা যেহেতু নতুন মাঠ, আগে কখনও খেলিনি এখানে। তাই একটু বুঝে নেওয়া দরকার ছিল, উইকেটটা কেমন।’’ দীপাবলীতে নতুন স্টেডিয়ামে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুশি ভারত অধিনায়কও। বললেন, ‘‘এ জন্যই তো আমরা খেলি। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে। তাই সিরিজটা জিতে আমরা খুবই খুশি। তৃপ্ত।’’

Advertisement

দলের নতুন বোলার খলিল আহমেদেরও প্রশংসা করে রোহিত বলেন, ‘‘খলিলই নতুন বলে বল করতে চেয়েছিল। নতুন বলে ও একেবারে অন্য রকমের। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। বল সুইং করায়। এই চ্যালেঞ্জটা ও নিয়েছেও দারুণ। সে জন্য দলও উপকৃত হচ্ছে।’’

আর খলিল বলেন, ‘‘আজ আমাকে নতুন বল দিয়ে দায়িত্ব বা়ড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনুশীলনে ভরত (অরুণ) স্যারের সঙ্গে আমার বোলিং আর্ম ও নন-বোলিং আর্ম নিয়ে কাজ করে চলেছি। ব্যাটিংয়ের সময় পিচটা বোঝার চেষ্টা করি। সেটাই কাজে আসে।’’ উইকেট নিয়ে তাঁর বিভিন্ন ধরনের উল্লাস করা নিয়ে খলিল বলছেন, ‘‘দেশের হয়ে খেলাটা আমার কাছে এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ যে সাফল্য পেলে তাতে এ রকম উল্লাস এসেই যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement