কেভিন অ্যান্ডারসন।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেন শুরু হওয়ার আগে কেউ সম্ভবত ভাবতে পারেননি এ বারের অন্যতম ফাইনালিস্টের নাম হতে পারে কেভিন অ্যান্ডারসন। কিন্তু সেটাই হয়েছে। ছ’ফুট আট ইঞ্চির এই দৈত্যাকার, ৩১ বছর বয়সি খেলোয়াড় ফাইনালে নামবেন রাফায়েল নাদালের বিরুদ্ধে। তার আগে অ্যান্ডারসন বলছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে খেলাটা সত্যিই আমি উপভোগ করি। এখানে খেলতে নামলে যেন একটা বাড়তি এনার্জি পাই। এখানকার দর্শক, রাতের ম্যাচ সব কিছুই আমার সেরাটা বার করে আনে। এখানেই আমি বছর দু’য়েক আগে অ্যান্ডি মারে-কে হারিয়েছিলাম। সে জন্যই এখানে খেলতে মুখিয়ে থাকি।’’
আপনার কি মনে হয়, জীবনের সেরা টেনিসটা খেলছেন এখন? অ্যান্ডারসন বলছেন, ‘‘কোনও সন্দেহ নেই, আমি জীবনের অন্যতম সেরা টেনিস খেলছি এই মুহূর্তে। কিন্তু তাও বলব, আমার উন্নতি করার অনেক জায়গা আছে।’’ চোট পেয়ে বেশ কিছু দিন কোর্টের বাইরে ছিলেন অ্যান্ডারসন। সেই সময় কয়েকটা ব্যাপারের ওপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। যা এখন উপকারে আসছে। তিনি বলছিলেন, ‘‘চোট পাওয়ায় এক দিক দিয়ে আমার ভালই হয়েছে। ওই সময়ে নিজের দুর্বলতার ওপর নজর দিয়েছি। নিজের ফিটনেস, কোর্টে নিজের গতি, নিজের মানসিকতা— সবেতেই উন্নতি করার চেষ্টা করেছি।’’
বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে নামার সময় কী রকম মানসিকতা থাকে আপনার? নিজেকে কী বলেন? অ্যান্ডারসনের ভাবনা খুব সহজ। তিনি মনে করেন, তাঁর ভাণ্ডারে যা অস্ত্র আছে, সেটা ম্যাচ জেতানোর পক্ষে যথেষ্ট। ‘‘আপনাকে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে, ট্রেনিংয়ে যে শটটা খেলেন, সেটা ম্যাচেও মারতে পারবেন। আমি জানি আমার হাতে যথেষ্ট ভাল সব শট আছে এবং ম্যাচে নেমেও যা আমি মারতে পারব,’’ বলেছেন ফ্লোরিডায় বসবাসকারী দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়।
তিরিশ বছর বয়সে কি আপনার পক্ষে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা সম্ভব? অ্যান্ডারসনের পাল্টা প্রশ্ন, কেন নয়? এর পরেই তিনি বলছেন, ‘‘অবশ্যই আমার সেই ক্ষমতা আছে। আমরা এখন এমন একটা সময় খেলছি, যখন খেলোয়াড়দের অনেকেরই তিরিশের ওপর বয়স। আমি নিজে টেনিসটা একটু দেরিতে শুরু করেছিলাম। তাই আমার তিরিশের ওপর বয়স হলেও নিজেকে যথেষ্ট তরুণ বলেই মনে হয়। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বের যে কোনও খেলোয়াড়কে হারানোর ক্ষমতা রাখি।’’ আপনার উত্থান ছাড়া এই বছরের সেরা টেনিস রূপকথা কী? অ্যান্ডারসন বলছেন, ‘‘অবশ্যই রাফা এবং রজারের প্রত্যাবর্তন। গত বছর কোর্ট থেকে দূরে থাকার পরে ওরা যে এ ভাবে ফিরবে, কেউ ভাবেনি।’’