বিভিন্ন খেলাধুলার প্রসারে এলাকায় স্টেডিয়ামের দাবি তুলেছেন কেশপুরের বাসিন্দারা। ক্রীড়াপ্রেমীদের দাবি, স্টেডিয়াম তৈরি হলে এলাকার ছেলেমেয়েদের উপকারের পাশাপাশি নানা রকম প্রতিযোগিতা আয়োজনে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সুবিধা হবে।
মেদিনীপুর (সদর) মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে গত বার কেশপুরে মহিলা ফুটবল লিগের কয়েকটি খেলা হয়েছিল। কিন্তু ভাল মাঠ না থাকায় কেশপুরে খেলার আয়োজন করতে গিয়ে উদ্যোক্তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। এই এলাকায় ‘স্টেডিয়াম জরুরি’ বলে জানিয়ে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ সিংহ ও সঞ্জিত তোরই দু’জনেই বলেন, “আসলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, লিগের খেলাগুলো গ্রামাঞ্চলেও হবে। সেই মতো শালবনি, গড়বেতা, কেশপুরে খেলাগুলি হয়। শালবনি, গড়বেতায় সমস্যা হয়নি। দুই জায়গায় স্টেডিয়াম রয়েছে। কেশপুরে খেলার আয়োজন করতে গিয়ে সমস্যা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “শেষমেশ কলেজ মাঠে খেলা করাতে হয়েছিল। মাঠে এক হাঁটু ঘাস ছাঁটতে হয়। গর্ত ভরাট করতে হয়।”
কেশপুরে যে স্টেডিয়াম প্রয়োজন, তা মানছেন বিধায়ক শিউলি সাহাও। শিউলি বলেন, “এখানে স্টেডিয়াম হলে খেলার প্রসার হবে। কেশপুরের মানুষের এই দাবির বিষয়টি যেখানে যেখানে জানানোর জানাচ্ছি।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের গুরুত্বপূর্ণ ব্লক কেশপুর। এলাকায় প্রতিভাবান খেলোয়াড় যে নেই তা নয়। তবে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। ক্রীড়া পরিকাঠামো বলতে যা বোঝায় তা এখনও এই এলাকায় সে ভাবে গড়ে ওঠেনি। খেলাধুলোর প্রসারে তেমন উদ্যোগও চোখে পড়েনি। ব্লক প্রশাসনের এক সূত্র জানাচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে স্টেডিয়াম করার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন। জায়গা যেমন একটা ব্যাপার, তেমন খরচের বিষয়ও ভাবতে হবে। ওই সূত্রের মতে, ‘‘নতুন স্টেডিয়ামের জন্য দশ-বারো একর জমি ও পাঁচ-ছ’কোটি টাকা জরুরি।”
এখন খড়্গপুরে নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করার কাজ চলছে। খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারও মানছেন, “ব্লক কিংবা শহরে স্টেডিয়াম থাকলে এলাকার ছেলেমেয়েদের ভাল হয়।”