ব্যাঙ্কক বিমান বন্দরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকল ভারতের জুনিয়র শুটাররা। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে ফিরছল ভারতের ১১ জন জুনিয়র শুটার। ব্যাঙ্ককে জরুরিকালীন অবস্থায় তাদের বিমান অবতরন করতে বাধ্য হয়। শুটারদের সকলেই ছিল টিনেজার। থাই এয়ারওয়েজের বিমানটি ফিরছিল দিল্লিতে। ওড়ার একঘণ্টা পড়ে হঠাৎই টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়। বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ব্যাঙ্ককে। এই জুনিয়রদের সঙ্গে কোনও সিনিয়র অফিশিয়াল বা কোচ ছিলেন না।
এক শুটারের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্কক বিমান বন্দর থেকে ফোন করে একজন শুটার তাদের এই পরিস্থিতির কথা জানায়। বলা হয়, ‘‘আমার ছেলে ব্যাঙ্কক বিমান বন্দর থেকে ফোন করেছিল। তখনই আমরা জানতে পারি ওদের বিমানটির জরুরী অবতরণ করা হয়েছে ব্যাঙ্কক বিমান বন্দরে। আমরা চিন্তায় পড়ে যাই কারণ ওরা সকলেই অনেক ছোট। কোনও বড় কেউ ওদের সঙ্গে ছিল না। বেশিরভাগের মোবাইল ফোন কাজ করছিল না। ওদের সঙ্গে শুটিং ফেডারেশনের কারও থাকা উচিত ছিল।’’
ন্যাশনাল রাইফেল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রনিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘জুনিয়র শুটারদের সঙ্গে ব্যাঙ্কক পর্যন্ত দু’জন কোচ শুটারদের দিল্লির বিমানের এক ঘণ্টা পরে দুই কোচের মুম্বইয়ের বিমান ছিল। সেই হিসেবেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই দলের সঙ্গে একজন সিনিয়র শুটার শিবম শুক্লাও ছিলেন। ওর সঙ্গে কথা বলেই জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’’ আজ মাঝ রাতের মধ্যে শুটারদের দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার কথা।
আরও পড়ুন
জাপান ওপেনে দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় সিন্ধুর, শেষ আটে শ্রীকান্ত
সাইয়ের তরফে এই পুরো ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। প্লেয়ারদের থাকা ও যাতায়াতের ফান্ডের দায়িত্ব পুরোটাই বহন করে সাই। ফেডারেশন সব ব্যবস্থা করে। সাইয়ের ডিজি জানিয়েছেন, ফেডারেশনের এটা নিশ্চিত করা উচিত ছিল জুনিয়ররা যাতে একা ট্রাভেল না করে। পুরো রাস্তায় ওদের সঙ্গে কোচ এবং অফিশিয়ালদের থাকা উচিত ছিল। পুরো ঘটনা শুনে রীতিমতো চমকে গিয়েছে সাই। হয়তো ফেডারেশনের কাছে এই ব্যাপারে জবাবদিহি চাওয়া হবে।