অপরূপ: অ্যাডিলেডে দিন-রাতের অ্যাশেজ টেস্টের মধ্যে দেখা গেল এই ছবি। গোধূলিতে রঙিন আকাশ, নীচে চলছে ক্রিকেটের লড়াই। ছবি: গেটি ইমেজেস
অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন ঘটবে কি না, তা ঠিক করে দিতে পারে একজনের ব্যাট। তিনি ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। জয়ের জন্য ৩৫৪ রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান চার উইকেটে ১৭৬। জিততে গেলে চাই আরও ১৭৮ রান। যে রানের কাছে দলকে নিয়ে যেতে পারেন একজন ব্যাটসম্যানই। তিনি রুট। দিনের শেষে রুট ব্যাট করছেন ৬৭ রানে। তার সঙ্গে আছেন ক্রিস ওকস।
অ্যাডিলেডের বাইশ গজে রুটের ব্যাট যত চওড়া হয়েছে, গ্যালারিতে তত গর্জে উঠছে ‘বার্মি আর্মি’। উল্টো দিকে সময় গড়ানোর পাশাপাশি কিছুটা ম্রিয়মাণ দেখিয়েছে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে। রুটের পাশাপাশি আরও একটা ব্যাপার স্মিথকে চিন্তায় ফেলতে পারে। শেষ দিনের লড়াইয়ে নামার আগে অস্ট্রেলিয়ার হাতে আর কোনও রিভিউ বেঁচে নেই। মঙ্গলবার তিন বলের মধ্যে দু’টো রিভিউ নষ্ট করে ফেলেন স্মিথ। তবে ইতিহাস এখনও অস্ট্রেলিয়ার দিকেই। অ্যাডিলেডে চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার, ৩১৫। তাও সেই ১৯০২ সালে। ইংল্যান্ডকে জিততে গেলে তাই রেকর্ড রান করতে হবে।
রুট এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। কিন্তু ইংল্যান্ডকে যিনি এই লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে এসেছেন, তিনি জিমি অ্যান্ডারসন। ৪৩ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৮ রানে থামিয়ে দেন ইংল্যান্ডের এই পেসার। কিন্তু তাঁর এই পারফরম্যান্স কি ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট? দিনের খেলার শেষে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘‘এই জয়টা পেলে সেটা বিশাল ব্যাপার হবে। বাকি সিরিজের জন্য আমাদের আত্মবিশ্বাসই শুধু বেড়ে যাবে না, দু’টো টেস্টের পরে স্কোরটাও ১-১ হয়ে যাবে।’’ অ্যান্ডারসন আরও বলছেন, ‘‘এটা খুব কমই দেখা যায় যে, একটা দল ডিক্লেয়ার দেওয়ার পর ম্যাচ হারছে। সে রকম হলে অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটা বিরাট ধাক্কা হবে।’’
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা শিবিরে ডাক্তার-বিতর্ক
অস্ট্রেলিয়া অবশ্য আশাবাদী, তারা টেস্ট জিততে পারবে। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং কোচ ডেভি়ড সাকের বলেছেন, ‘‘আমরা এখনও আত্মবিশ্বাসী। মানছি, শেষ দু’টো দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী যায়নি। কিন্তু সকালে যদি রুটের উইকেটটা তুলে নিতে পারি, তা হলে ম্যাচ আমাদের।’’
অর্থাৎ লড়াইটা এখন রুট বনাম অস্ট্রেলিয়ার।