আর্চার গঠনমূলক সমালোচনা নিতে পারছেন না, খোঁচা দিয়েছেন টিনো বেস্ট।
বাগযুদ্ধে জড়ালেন জোফ্রা আর্চার ও টিনো বেস্ট। টুইট ও পাল্টা টুইটে দু’জনের কথার লড়াই রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে ক্রিকেটমহলে।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নজর কেড়েছিলেন আর্চার। তার পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাশেজে তিনি চমকে দেন ক্রিকেটবিশ্বকে। কিন্তু ইংল্যান্ডের নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজে একেবারে সাদামাটা দেখিয়েছে তাঁকে। দুই টেস্টের চার ইনিংসে তিনি নেন মোটে দুই উইকেট। আগের সিরিজে নিয়মিত বিপক্ষ ইনিংসে আঘাত হানলেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে হতাশ দেখিয়েছে তাঁকে। যদিও ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট তাঁকে আড়াল করে জানান যে, এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেবেন আর্চার।
কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন পেসার টিনো বেস্ট টুইটারে সোজাসুজি সমালোচনা করেন আর্চারের। তাঁর বলের গতি কমে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আর এতেই রেগে যান আর্চার। তিনিও পাল্টা টুইট করে তীব্র কটাক্ষ করেন বেস্টকে।
টিনো বেস্ট টুইট করেছিলেন, ‘আর্চারের এত মন্থর বোলিং নিয়ে কেউ কি উদ্বিগ্ন? জীবনের দ্বিতীয় সিরিজেই গতি কমে গিয়েছে ওর। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ও তো বিশ্রাম পেয়েছিল। তার পরও কী ভাবে সিরিজের প্রথম টেস্টে গতি কমে গিয়েছিল? ও কি আহত? ওকে তো এ বার মিডিয়াম ফাস্ট বোলার বলতে হবে।’ জবাবে খোঁচা দিয়ে আর্চার লেখেন, ‘ক্যাপ্টেন আর আমি চিন্তিত নই। এই উদ্বেগের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। এটা আমার সত্যিই ভাল লেগেছে।’
টিনো বেস্ট এর পর আরও এক পোস্ট করেন। বলেন, আর্চার গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণ করতে চান না। তাঁর উচিত সমালোচনা গ্রহণ করা। তিনি টুইট করেন, ‘এই প্রজন্মের সমস্যা হল, এরা কেউ গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করতে পারে না! আমার ছেলের ক্ষেত্রেও এটা দেখি। এখনকার তরুণরা বড়দের সম্মান করতে পারে না। কিন্তু বয়স্কদের থেকে শিক্ষা নিয়েই চলতে হয়।’
জবাবে আর্চার ফের টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘গঠনমূলক সমালোচনাই উদ্দেশ্য থাকলে সরাসরি আমাকে মেসেজ পাঠানো যেত। বার্বাডোজ তো আর তেমন বড় জায়গাও নয়। যাক, টুইটারে বাজার গরম করছ যখন করে যাও।’