joe root

প্রত্যাঘাতের স্বপ্ন রুটদের, আগ্রাসন চান পিটারসেন

কিন্তু সেটা কী ভাবে সম্ভব? কী ভাবে ভারতীয় স্পিনের মোকাবিলা করতে পারেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১ ০৭:১৯
Share:

ফাইল চিত্র।

ডেভিড লয়েডের মতো ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা কেউ, কেউ এখনও দাবি তুলছেন, মোতেরার পিচ নিয়ে আইসিসি কিছু পদক্ষেপ করুক। কিন্তু ঘূর্ণি পিচ নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার কাছে এখনই হয়তো সরকারি ভাবে কোনও অভিযোগ করার রাস্তায় হাঁটবে না ইংল্যান্ড। জো রুটের দল এখন নজর দিতে চায়, শেষ টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করার উপরে। গত আট বছরে যা কোনও বিদেশি দল ভারতে এসে করতে পারেনি।

Advertisement

গত কাল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ জোনাথন ট্রট এসে বলেছিলেন, ‘‘আমরা সামনে তাকাতে চাই। যা হয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করতে চাই না। আমাদের সামনে একটাই লক্ষ্য। পরের টেস্টে যে পিচই দেওয়া হোক না কেন, সেখানে ভারতের থেকে আমাদের ভাল খেলতে হবে।’’

রবিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে এসে ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার বেন ফোক্‌স স্বীকার করেছেন, তাঁরা শেষ দুটো টেস্টেই ভারতের থেকে সব দিকে পিছিয়ে ছিলেন। ফোক্‌স বলেছেন, ‘‘ভারতের দু’জন দারুণ স্পিনার আছে। যাদের জবাব আমাদের কাছে ছিল না। এ বার পরের টেস্টে আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে এই চ্যালেঞ্জের জবাব দেওয়ার জন্য। স্কোরবোর্ডে আমাদের বড় রান তুলতেই হবে। সিরিজ ২-২ করে ফিরতে পারলে বড় ব্যাপার হবে।’’

Advertisement

কিন্তু সেটা কী ভাবে সম্ভব? কী ভাবে ভারতীয় স্পিনের মোকাবিলা করতে পারেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা? তাঁর দেশের ক্রিকেটারদের একটা পরামর্শ দিচ্ছেন কেভিন পিটারসেন। ভারতের মাটিতে এসে স্পিনারদের বিরুদ্ধে ঘূর্ণি পিচেও রান পেয়েছেন ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন ব্যাটসম্যান। কেপি-র মন্ত্র, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে পিটারসেন বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ডের ক’জন ব্যাটসম্যান এগিয়ে এসে স্পিনারদের বল মিড অফে পাঠিয়েছে? ঠিক যে ভাবে রোহিত শর্মা প্রথম ইনিংসে ব্যাট করল। স্টেপ আউট করে স্পিনারদের বল মেরে ক’জন ব্যাটসম্যান খুচরো রান নিয়ে স্ট্রাইক বদল করার চেষ্টা করেছে? ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানেরা ক্রিজে আটকে থেকে নখদন্তহীন শিকারে পরিণত হয়েছিল।’’

২০১২ সালে ওয়াংখেড়ের ঘূর্ণি উইকেটে ভারতের স্পিন আক্রমণ সামলে ১৮৬ রান করেছিলেন পিটারসেন। বলা হয়ে থাকে, ভারতের মাটিতে বিদেশি ক্রিকেটারের খেলা অন্যতম সেরা ইনিংস হল কেপি-র ওই ১৮৬। যা নিয়ে পিটারসেন বলেছেন, ‘‘আমার ইনিংসটা একবার দেখে নিতে পারে ওরা। সোজা বলগুলো আমি কী ভাবে ডিফেন্ড করেছিলাম, সেটা দেখুক। ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের সোজা বলগুলোকে সোজা ব্যাটে খেলতে হবে। যে বল স্পিন করে স্লিপের দিকে চলে যাচ্ছে, সেগুলো নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কী হবে? ইংল্যান্ডের ক’জন ব্যাটসম্যান বোলারদের শাসন করার চেষ্টা করেছে? মুম্বইয়ের ওই পিচ আর আমদাবাদের এই পিচ— কোনওটাই বিপজ্জনক ছিল না। কেউ আহত হয়নি।’’

ইংল্যান্ড উইকেটকিপার ফোকস বলেছেন, বল যে ঘুরবে, তা তাঁরা জানতেন। কিন্তু এতটা যে ঘুরবে, তা ভাবতে পারেননি। ফোক্‌সের কথায়, ‘‘এ রকম ভাবে বল ঘুরতে আমি কোনও পিচে দেখিনি। প্রথম বল থেকেই মনে হচ্ছিল, পঞ্চম দিনের পিচে খেলছি।’’ ফোক্‌স মনে করছেন, শেষ টেস্টেও তাঁদের জন্য ঘূর্ণি পিচ অপেক্ষা করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement