হতাশ: কোহালিকে আউট করে রবিনসনের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স
সচিন তেন্ডুলকরের আরও একটি রেকর্ড ভাঙলেন বিরাট কোহালি। বৃহস্পতিবার ওভালে দ্রুততম ২৩ হাজার আন্তর্জাতিক রানের নজির গড়লেন ভারতীয় অধিনায়ক।
মাত্র ৪৯০ ইনিংসে এই নজির গড়লেন বিরাট। সচিনের চেয়ে ৩২ ইনিংস কম লেগেছে নতুন এই কীর্তি গড়তে। ওভালে মাত্র এক রান করলেই সচিনের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারতেন বিরাট। তা সম্পূর্ণ হল জেমস অ্যান্ডারসনের বলে অন-ড্রাইভে চার রান কুড়িয়ে।
সচিনের পাশাপাশি রিকি পন্টিং, কুমার সঙ্গকারাকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। এ দিন ওভালে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে হাফসেঞ্চুরিও করলেন। যদিও তাঁর উইকেট পাননি জেমস অ্যান্ডারসন। বিরাট আউট হয়েছেন অলি রবিনসনের বলে। তবে ভারতীয় অধিনায়কের উইকেট পাওয়া যে কত বড় প্রাপ্তি, তা জানিয়ে দিলেন অ্যান্ডারসন। তিনি যে নিঃসন্দেহে ভারতের সেরা উইকেট, তাও বলতে দ্বিধা নেই প্রবীণ ইংরেজ পেসারের।
ইংল্যান্ডের এক সংবাদপত্রে অ্যান্ডারসন লিখেছেন, ‘‘লিডসের প্রথম ইনিংসে কোহালিকে আউট করার পরে খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। ট্রেন্ট ব্রিজেও একই রকম আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। ও কত বড় মাপের ক্রিকেটার সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। ওর মধ্যে এমন কিছু ব্যাপার আছে যা বাকিদের থেকে ওকে আলাদা করতে সাহায্য করে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘অধিনায়ক হিসেবেও ওর মধ্যে বিশেষ কিছু চারিত্রিক পার্থক্য রয়েছে। বিপক্ষের উইকেট পড়লে ও যে ভাবে উৎসব করে, তাতেই বোঝা যায়, ক্রিকেটকে কতটা ভালবাসে।’’
হেডিংলেতে প্রথম ইনিংসে কোহালির উইকেট নেওয়ার সঙ্গেই চেতেশ্বর পুজারা ও কে এল রাহুলের উইকেটও পেয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় অধিনায়কের উইকেট নেন তরুণ পেসার অলি রবিনসন। কোহালির উইকেট অ্যান্ডারসন না পেলেও তিনি আউট হলেই অদ্ভুত আনন্দ উপভোগ করেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘রবিনসন ও আমি জুটি হিসেবে বল করার চেষ্টা করি। কখনও এক দিক থেকে আমি রান আটকাই, ও উইকেট নেয়। কখনও ও রান আটকায়, আমি উইকেট পাই। এ ভাবেই ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার চেষ্টা করছি।’’
ওভালেও এ ভাবেই ভারতীয় শিবিরের উপরে চাপ সৃষ্টি করেন অ্যান্ডারসন ও রবিনসন। বিরাটের উইকেট যদিও পান রবিনসনই। তবুও অ্যান্ডারসনের লিখতে দ্বিধা নেই, ‘‘কোহালিকে বুঝিয়ে দিতে চাই, ওর উইকেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা মানতেই হবে, কোহালি টিকে যাওয়া মানে বিপক্ষের শক্তি দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া।’’ হেডিংলেতে প্রথম ইনিংসে কোহালিকে কী ভাবে আউট করলেন অ্যান্ডারসন? কিংবদন্তি পেসার জানিয়েছেন, পরিকল্পনা ছিল ভারতীয় অধিনায়কের অফস্টাম্প আক্রমণ করার। কয়েকটি বল ছেড়ে দিলেও প্রিয় শট কভার ড্রাইভ করতে যাবেন বিরাট। সে ভাবেই ফাঁদ তৈরি করার চেষ্টা করেন অ্যান্ডারসন।