ট্রফি মাথায় ভাংড়া হরভজনের

ইডেনকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারলে ভাল হত, বলে গেলেন রোহিত

আইপিএল ট্রফিকে মাথায় তুলে হরভজন সিংহের নাচ। ইডেন গার্ডেন্সকে কাঁধে করে রোহিত শর্মার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ। হার্দিক পাণ্ডিয়া থেকে অম্বাতি রায়াডু— সবার সঙ্গে সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের অবিরাম সেলফি তুলে যাওয়া। রাতভর শ্যাম্পেন স্নানের সঙ্গে গোটা টিমের উদ্দাম নাচ। ওয়াংখেড়েতে টিম মুম্বইয়ের রাজকীয় সংবর্ধনা। দ্বিতীয় বার আইপিএল ট্রফি জয়ের পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় মুম্বই সংসারে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাবলীর খোঁজ করলে এগুলোই পাওয়া যাবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৫ ০২:৫০
Share:

সম্রাট ও সুন্দরী। বাগদত্তা রীতিকার সঙ্গে রোহিত।

আইপিএল ট্রফিকে মাথায় তুলে হরভজন সিংহের নাচ।
ইডেন গার্ডেন্সকে কাঁধে করে রোহিত শর্মার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ।
হার্দিক পাণ্ডিয়া থেকে অম্বাতি রায়াডু— সবার সঙ্গে সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের অবিরাম সেলফি তুলে যাওয়া।
রাতভর শ্যাম্পেন স্নানের সঙ্গে গোটা টিমের উদ্দাম নাচ।
ওয়াংখেড়েতে টিম মুম্বইয়ের রাজকীয় সংবর্ধনা।
দ্বিতীয় বার আইপিএল ট্রফি জয়ের পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় মুম্বই সংসারে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাবলীর খোঁজ করলে এগুলোই পাওয়া যাবে।
রবিবার গঙ্গাপাড়ের স্টেডিয়ামে মুম্বইয়ের আইপিএল জয়ের যে উৎসব শুরু হয়েছিল, তার সমাপ্তি হল আরব সাগরের তীরে। ওয়াংখেড়েতে। এ দিন দুপুর নাগাদ মুম্বই ফিরে যান রোহিতরা। সন্ধে সাড়ে সাতটায় ওয়াংখেড়েতে মহারাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হল টিম মুম্বইকে। রাতের দিকে শোনা গেল, টিমের জন্য একটা প্রাইভেট ডিনার পার্টিরও ব্যবস্থা থাকছে টিম মালিকের বাড়িতে।

Advertisement

আর ইডেনে? রবিবার রাত দেড়টা পর্যন্ত ড্রেসিংরুমে তুমুল হইহট্টগোল সমেত পার্টি। তার পর হোটেলে ফিরে আরও একপ্রস্থ। মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা তারই মধ্যে বলে গেলেন, ‘‘আমার তো ইচ্ছে করছে ইডেনকে প্যাক করে বাড়ি নিয়ে যেতে। বিশ্বের যে যে জায়গায় খেলতে যেতে হবে, সমস্ত জায়গায় নিয়ে যেতে। মাঠটা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। কত কিছু দিয়েছে আমাকে। জিজ্ঞেস করলে বলতে পারব না কেন ইডেন আমার কাছে এত স্পেশ্যাল। জানতে চাইও না। শুধু এখানে বারবার ফিরে আসতে চাই। জিততে চাই।’’ এটাও শুনিয়ে দিলেন যে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টিম ১/১ হয়ে যাওয়ার পর ইডেনে তাঁর অসামান্য পারফরম্যান্সই রোহিতকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল। ‘‘হ্যাঁ, ওটা ভেতরে ভেতরে চলছিল। তা ছাড়া অধিনায়ক হিসেবেও আমি চাইছিলাম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে,’’ বলে সংযোজন, ‘‘আমি চাইছিলাম উদাহরণ হিসেবে নিজেকে টিমের সামনে আমার পেশ করতে হত। বাড়তি কিছু করতে যাইনি আমি। প্রচুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে গিয়ে নিজের কাজটা করে দিয়েছি।’’

মুম্বই টিমের অনেকেরই মনে হচ্ছে, শিল্পী ব্যাটসম্যান থেকে রোহিত শর্মার দক্ষ অধিনায়কে উত্তরণ ঘটে গিয়েছে। দ্বিতীয় বার আইপিএল ট্রফি জয় যার প্রমাণ। ঠিক তেমনই বারবার উঠে আসছে রিকি পন্টিংয়ের নাম। বলা হচ্ছে, পন্টিং যেমন প্রতিপক্ষ হিসেবে সিরিয়াস, অকুতোভয় ছিলেন, কোচ হিসেবেও সেটা টিমের একেবারে মজ্জায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন। সচিন তেন্ডুলকর বলেও দিয়েছেন, ‘‘টুর্নামেন্টের কোনও পর্বেই ওর মনে হয়নি যে টিমটা ছিটকে গেল। একটা টিমের চারপাশে সব সময় পজিটিভ এনার্জি সমেত লোকজন দরকার। প্রচুর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কাউকে দরকার। পন্টিংয়ের দু’টোই আছে।’’ আর রোহিত নিয়ে লিটল মাস্টারের মন্তব্য, ‘‘আমার মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে রোহিত অনেক উন্নতি করেছে। প্রথম যখন মুম্বই অধিনায়ক হিসেবে ও শুরু করেছিল, তার চেয়ে ও এখন অনেক বেশি উন্নত ক্যাপ্টেন। অনেক বেশি পরিণত। সবচেয়ে বড় কথা, যেটা ভেবে ও মাঠে নামে, সেটা নেমে করে দেখাতে পারে।’’

Advertisement

সচিনের মনে হচ্ছে, টিম নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে পেরেছিল বলেই এমন প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে। টুর্নামেন্টে পরপর হার দিয়ে শুরু করার পরেও কারও মনে হয়নি খেলে আর লাভ নেই। বরং সব সময় নাকি অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখে এসেছে টিমটা। যা জঘন্য শুরু করেও শেষ পর্যন্ত টিমকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে।

ভাল করে বললে, ঠিক এক বছর আগের কেকেআর করে দিয়েছে। অতল খাদ থেকে মরিয়া প্রত্যাবর্তনে ট্রফি জয়ের টেমপ্লেট কোনও এক গৌতম গম্ভীর দিয়ে গিয়েছিলেন না?

(সচিনদের ওয়াংখেড়ে উৎসবের ছবি পিটিআই)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement