গোলে ফিরতে মরিয়া উইলিয়ামস। ছবি-ভিডিয়ো থেকে।
গোয়ার মাটিতে এফসি গোয়াকে হারানোর পর এ বার এটিকে-মোহনবাগানের সামনে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু। সুনীলদের বিরুদ্ধে গতবার গোল করার দুর্দান্ত ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে ডেভিড উইলিয়ামসদের। উইলিয়ামসের বন্ধু রয় কৃষ্ণ এই এটিকে-মোহনবাগানের ত্রাতা হয়ে ধরা দিচ্ছেন। আর উইলিয়ামস সদ্য চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন।
গোয়ার বিরুদ্ধে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন তিনি। তাঁর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। সেই উইলিয়ামস এখন চাইছেন, গোলদাতাদের তালিকায় নিজের নাম তুলে ফেলতে। বেঙ্গালুরু ম্যাচের আগে এ লিগে খেলা ফুটবলার বলছেন, “বেঙ্গালুরু ম্যাচে আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য এটিকে-মোহনবাগানের গোলদাতার তালিকায় নাম তোলা। অল্পের জন্য গোয়া ম্যাচে যা করতে পারিনি। এখনও আমি শারীরিক ভাবে পুরো ফিট নই। আর একটু সময় লাগবে গতবারের ফর্মে ফিরতে।”
গত বার রয় কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর জুটি দারুণ সফল হয়েছিল। এবারও যাতে তা হয়, সেই লক্ষ্যেই পরিশ্রম করছেন উইলিয়ামস। তিনি বলছেন, “ব্যক্তিগত সাফল্যের পাশাপাশি আমাদের সবার লক্ষ্য দলকে জেতানো। দল হারলে বা পয়েন্ট নষ্ট করলে নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনা হয়। সেটা হবেও। তবে আমরা চিন্তিত নই। আমি পুরো ফর্মে এখনও না ফিরলেও রয় কৃষ্ণ এবং মনবীর সিংহ দু'জনেই নিজেদের কাজটা করছে।”
তাঁর নামের পাশে গোল নেই বলে মোটেও চিন্তিত নন উইলিয়ামস।
আরও পড়ুন: সিডনিতে টেস্ট হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়া
তিনি বলছেন, “আজ না হোক কাল গোল করবই। আমাদের সবার লক্ষ্য দলকে সাফল্য এনে দেওয়া।” হাবাসের মূলমন্ত্র হল, এক গোল দিলেও তিন পয়েন্ট, আবার ৬ গোল করলেও ৩ পয়েন্ট। উইলিয়ামস বলছেন, “কম গোল করা নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছে। কিন্তু তিন পয়েন্ট নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলে কত গোলে জিতলাম তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। মনে রাখতে হবে আইএসএলে সব ম্যাচই কঠিন।”
ওডিশার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত গোল করেছেন সুনীল ছেত্রী। ওডিশা সমতা ফেরালেও, খেলার শেষের দিকে বেঙ্গালুরু দ্বিতীয় গোল করে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয়। বিপক্ষে সুনীল ছেত্রীর মতো স্ট্রাইকার রয়েছেন বলেই উইলিয়ামস বলছেন, “সুনীল ছেত্রী শেষ কয়েকটি ম্যাচে খুব ভাল খেলেছে। গোলও পাচ্ছে। ওরা উইং দিয়ে আক্রমণ তুলে আনছে। বিদেশি ফুটবলাররাও ভাল খেলছে। যত দিন যাচ্ছে ততই ওরা ভয়ঙ্কর ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে।”
চোট সারিয়ে ফিরে গোয়ার বিরুদ্ধে ৯০ মিনিট খেলেছেন প্রণয় হালদার। মাঝমাঠে প্রাচীর হয়ে নিজেদের গোল অক্ষত রাখার জন্য কোচ হাবাস তাঁকে অনেকটাই কৃতিত্ব দিচ্ছেন। সেই প্রণয় বলছেন, “শেষ কবে পুরো নব্বই মিনিট খেলেছি ভুলে গিয়েছি। গোয়ার বিরুদ্ধে পুরো ফিট হয়ে একশো শতাংশ দিতে পেরেছি বলে ভাল লাগছে। কোচ যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেটা সাফল্যের সঙ্গে পালন করতে পেরেছি বলেই আরও বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরের ম্যাচগুলোতে মাঠে নামবো।”
সুনীল ছাড়াও উদান্ত সিংহ, গুরপ্রীত সিংহরা বেশ ভাল খেলছেন। হাবাস এখনও বেঙ্গালুরু ম্যাচের স্ট্র্যাটেজি করেননি। গোয়ার বিরুদ্ধে যে ভুলত্রুটিগুলো হয়েছে, সে গুলো যাতে আর না হয়, সেই অনুশীলন করছেন এটিকে-মোহনবাগানের ফুটবলাররা।