নায়ক: জামশেদপুরের দ্বিতীয় গোলদাতা পাবলো (বাঁ দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
মুম্বই সিটি এফসি ০ • জামশেদপুর এফসি ২
গত বছর আইএসএলে প্রথম বার খেলতে নেমেই পঞ্চম হয়ে নজর কেড়েছিল জামশেদপুর এফসি। তাদের চেয়ে দুই ধাপ পিছনে শেষ করেছিল মুম্বই সিটি এফসি।
মঙ্গলবার রণবীর কপূরের দলকে অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-০ হারাল জামশেদপুর এফসি। দুই অর্ধে গোল করলেন জামশেদপুরের দুই স্পেনীয় ফুটবলার মারিয়ো আর্কোয়েস ও পাবলো মর্গাদো ব্লাঙ্কো।
মুম্বই ফুটবল এরিনায় এ দিন শুরু থেকেই দাপটে খেলা শুরু করে জামশেদপুর। বলের দখল বেশি ছিল তাদের পায়েই। ২৮ মিনিটেই মারিয়ো আর্কোয়েসের গোলে এগিয়ে যায় জামশেদপুর। দ্বিতীয়ার্ধে সংযুক্ত সময়ে ব্যবধান বাড়ান ব্লাঙ্কো।
গত চারটি আইপিএলে খেতাব জিততে পারেনি মুম্বইয়ের দলটি। ফলে এ বার নতুন কোচ জর্জ কোস্তাকে আনা হয়েছে ভাল ফল করার জন্য। সেখানে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই জামশেদপুরের কাছে হারের পরে হতাশ মুম্বই সিটি এফসি সমর্থকরা। ম্যাচ সাসপেনশনে থাকায় এ দিন মাঠে ছিলেন না জামশেদপুরের দুই তারকা ফুটবলার। এরা হলেন গোলকিপার সুব্রত পাল এবং টিম কাহিল।
এ দিন হারের সঙ্গে দুর্ভাগ্যও মাঠের মধ্যে তাড়া করেছিল মুম্বইয়ের দলটিকে। দ্বিতীয়ার্ধে দু’বারই তাদের গোল বাতিল হয় অফসাইডের জন্য। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুম্বই শিবির।
এ দিন ঘরের মাঠে প্রথম গোল খাওয়ার আগেই এগিয়ে যেতে পারত মুম্বই। ১৫ মিনিটে সৌভিক চক্রবর্তীর গোলমুখী শট ব্যর্থ হয়। ২২ মিনিটে মুম্বই ডিফেন্ডার লুসিয়ান গইয়ানের হেড অল্পের জন্য লক্ষভ্রষ্ট হয়।
মুম্বই রক্ষণে এ দিন রাজু গায়কোয়াড়কে নড়বড়ে দেখালেই দুরন্ত খেললেন অপর স্টপার তিরি। যিনি অতীতে কলকাতায় এটিকের জার্সি গায়ে খেলে গিয়েছেন।
প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে ছিল জামশেদপুর। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার বড় সুযোগ চলে এসেছিল মুম্বইয়ের সামনে। কিন্তু সঞ্জু প্রধানের বাড়ানো বল থেকে মুম্বইয়ের ব্রাজিলীয় ফুটবলার রাফায়েল বাস্তোস গোল করতে পারেননি। তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন জামশেদপুরের গোলরক্ষক শুভাশিস রায়চৌধুরী। ম্যাচের সংযুক্ত সময়ে প্রতি-আক্রমণে জামশেদপুরের সের্খিয়ো সিদোনচা বল বাড়িয়েছিলেন ব্লাঙ্কোকে। যেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি ব্লাঙ্কো।