দেওয়াল লিখন পড়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পাঠান। ছবি— পিটিআই।
ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সব চেয়ে বেশি রান করেছিলেন। অলরাউন্ডার হিসেবে যথেষ্ট সফলও ছিলেন। তবুও নির্বাচকদের খুশি করতে পারেননি তিনি। দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলেছিলেন তখনই। দেশের হয়ে খেলা যে আর সম্ভব নয়, তা বুঝে গিয়েছিলেন ইরফান পাঠান। বিদায় বেলায় বাঁ হাতি অলরাউন্ডার আক্ষেপ করে বলেন, ‘‘২০১৬ সালের পরে জেনে গিয়েছিলাম আমার আর জাতীয় দলে ফেরা হবে না। ২০১৫-১৬ মরসুমের সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান করেছিলাম। সেরা অলরাউন্ডার হয়েছিলাম। নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি ওরা আমার বোলিংয়ে সন্তুষ্ট নন।’’
অথচ একসময়ে তো তাঁর বাঁ হাত ম্যাজিক দেখিয়েছিল। তাঁর সুইং সামলাতে বেগ পেতে হয়েছিল বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের। মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ৩০১টি আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক হয়ে গিয়েছিলেন পাঠান। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, এই ছেলে বহু দূর যাবেন। ঠিক তখনই ছন্দপতন।
আরও পড়ুন: ছেলে বাগদান সেরে ফেলেছেন, জানতেনই না হার্দিক পাণ্ড্যর বাবা!
অনেকেই ক্রিকেট কেরিয়ার যে বয়সে শুরু করেন, সেই বয়সে পাঠানের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। আবেগতাড়িত পাঠান বলেন, ‘‘আমার যখন ২৭-২৮ বছর বয়স, তখনই ৩০১টি আন্তর্জাতিক উইকেট পাওয়া হয়ে গিয়েছিল আমার। ভেবেছিলাম আরও সুযোগ পাব। যে কোনও কারণেই হোক আর সুযোগ পাইনি। এর জন্য আমার কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু পিছন ফিরে তাকালে খারাপই লাগে।’’
শুরুতেই তাঁর কেরিয়ার হাইওয়ে দিয়ে উড়েছিল। কিন্তু শেষটা ততটা ভাল হয়নি। শেষের দিকে আইপিএল-এও নিয়মিত সুযোগ পেতেন না ইরফান। ঘরোয়া ক্রিকেটে জম্মু-কাশ্মীরের প্লেয়ার কাম মেন্টর ছিলেন। খেলা চালিয়ে যাওয়ার মোটিভেশন হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তাই সব ধরনের ফরম্যাট থেকেই বিদায় নেন একসময়ের তারকা অলরাউন্ডার।