উইকেট নেওয়ার পর কুল্টার-নাইলকে ঘিরে উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি।
এলিমিনেশন পর্বে বুধবার বেঙ্গালুরুতে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা ও হায়দরাবাদ। কিন্তু বৃষ্টির জন্য দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে খেলা। হায়দরাবাদ ১২৮ রানেই শেষ হয়ে যায়। হায়দরাবাদ ইনিংস শেষেই শুরু হয় বৃষ্টি। চলে এতক্ষণ যে কলকাতা পুরো ২০ ওভার খেলার সুযোগ পায়নি। ডি/এল মেথডে ম্যাচের নিস্পত্তি হয়। যেখানে ম্যাচ দাঁড়ায় ছয় ওভারে। কলকাতার জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৮ রানের। এই ৪৮ রান করতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে কলকাতা। শেষ পর্যন্ত ৪ নম্বরে নেমে দলের হাল ধরতে হয় স্বয়ং গৌতম গম্ভীরকে। কিন্তু এই জয়ের আসল কারিগর যে বোলাররাই তা স্বীকার করে নিয়েছেন গম্ভীর। সেই তালিকায় সেরা কুল্টার নাইল।
আরও খবর: হায়দরাবাদকে হেলায় হারিয়ে এলিমিনেটর জিতল কেকেআর
৪৮ রানের মধ্যে ৩২ রানই আসে গম্ভীরের ব্যাট থেকে। পাঁচ রান করে অপরাজিত থাকেন ইশাঙ্ক জাগ্গি। চার বল বাকি থাকতেই সেই রান তুলে নেয় কলকাতা ঠিকই। কিন্তু ম্যাচ শেষে কলকাতার বোলার কুল্টার নাইল জানিয়ে দেন এই মধ্য রাতে ক্রিকেট খেলা বেশ কঠিন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যে খুব ভয়ে ছিলাম এমনটা নয়। রাত ১২.৪০এ যখন মাঠ দেখা হয় তখনই আশায় ছিলাম। কারণ হাতে অনেকটাই সময় ছিল। রাত দুটো পর্যন্ত খেলা শুরুর সময় রাখা হয়েছিল। কিন্তু রাত দুটোয় ক্রিকেট খেলা যায় না। কিন্তু আমরা কেউ নার্ভাস ছিলাম না।’’
মাথার চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন কুল্টার। তিনি বলেন, ‘‘এখন আমি অনেকটাই ঠিক আছি। আমি ভাবিনি এই চোট এতটা সমস্যায় ফেলবে। আমি সেদিন রাত ১০টাই ঘুমিয়েছিলাম উঠেছিলাম পর দিন সন্ধে সাতটায়। পরের দিনই খুব মাথা ব্যথা ছিল। কিন্তু ভাল বিষয় আমি সুস্থ হয়ে উঠেছি।’