সন্তুষ্ট: দলের লড়াকু মনোভাবে খুশি কোহলি। —ফাইল চিত্র।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আইপিএল না জিতলেও বিরাট কোহলি আরও এক বার কমলা টুপি জিতে নিয়েছেন। সর্বাধিক রান করে। সদ্য সমাপ্ত আইপিএলের ১৫টি ম্যাচে বিরাট করেছেন ৭৪১ রান। এই প্রথম কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার আইপিএলে দু’বার কমলা টুপি জিতলেন। যার পরে সমাজমাধ্যমে বিরাট বলেছেন, ‘‘এই মরসুমে কমলা টুপি জিতে আমি সম্মানিত।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিরাটের এই ধারাবাহিকতা স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদেরও। নিজের ব্যাটিং এবং আরসিবি-কে নিয়ে বিরাট বলেছেন, ‘‘এ বারের আইপিএলে দল হিসেবে আমরা অনেক ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি।’’ যোগ করেন, ‘‘দলের জন্য যে ভাবে খেলেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে আইপিএলের পরের পর্বে। ওই সময় আমাদের প্রতিটা ম্যাচই জিততে হত।’’
প্রথম আটটার মধ্যে সাতটা ম্যাচই হেরেছিল আরসিবি। তার পরে শেষ ছ’টায় ছ’টা জিতে প্লে-অফে উঠে যায়। কিন্তু এলিমিনেটরে হার মানতে হয় রাজস্থান রয়্যালসের কাছে। সমাজমাধ্যমে তুলে ধরা ওই বার্তায় বিরাট আরও বলেছেন, ‘‘এই ছন্দটা আশা করব পরের বছর আইপিএলে ধরে রাখতে পারব। আমার পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’’
এ বারের আইপিএলে বিরাট সর্বাধিক রান করলেও কোনও কোনও মহল থেকে এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কেউ কেউ বলেছিলেন, পাওয়ার-প্লের ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার পরে বিরাট দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারছেন না। যে সমালোচনার জবাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিরাট। তাঁর ব্যাটেও ঝড় উঠতে থাকে। তাঁর আরসিবি সতীর্থ দীনেশ কার্তিক মনে করেন, এই সব সমালোচনাই তাতিয়ে দিয়েছিল বিরাটকে।
একটি ওয়েবসাইটে কার্তিক বলেছেন, ‘‘এই বছরে বিরাট যে রকম খেলেছে, তার উপরে আমি একটা আস্ত বই লিখতে পারি। সমালোচকদের ধন্যবাদ, ওদের জন্যই বিরাট এ রকম ব্যাট করেছে। ওরাই বিরাটকে তাতিয়ে দিয়েছিল।’’ কার্তিক আরও বলেছেন, ‘‘লোকেদের ভুল প্রমাণ করতে খুব ভালবাসে বিরাট। এই ধরনের সমালোচনা বিরাটের আবেগকে উস্কে দেয়। ও তখন ঘুম থেকে জেগে ওঠা আগ্নেয়গিরির মতো হয়ে যায়।’’
ভারতীয় দলের হয়ে যেমন বিরাটকে কাছ থেকে দেখেছেন কার্তিক, সে রকম দেখেছেন আইপিএলেও। সেই অভিজ্ঞতা থেকে কার্তিক বলেছেন, ‘‘এই রকম পরিস্থিতিতে বিরাট আগুন হয়ে থাকে। ওই সময় ওর কাছে না যাওয়াই ভাল। তা হলে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। দিনের পর দিন এই কাজটা করে এসেছে বিরাট।’’ এ বার বিশ্বকাপের আসরে কী রকম খেলেন বিরাট, সেটাই দেখার। ২ জুন থেকে আমেরিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভারতের প্রথম ম্যাচ ৫ জুন।