বেজায় চটে আছেন বিরাট কোহালি। দলের পর পর হারে রীতিমতো দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে কোহালি অ্যান্ড কোংয়ের। সেখান থেকে যে ফিরে শেষ চারে পৌঁছনোর কোনও রাস্তা নেই সেটাও বুঝে গিয়েছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। এই অবস্থায় শেষটা যাতে ভাল হয় সেই চেষ্টাতেই দলকে বোকাল টনিক দিয়ে তাতানোর চেষ্টায় রয়েছেন তিনি।
আরও খবর: বেঙ্গালুরু, পুণের পর এ বার দিল্লি বধ গম্ভীর ব্রিগেডের
কলকাতার কাছে লজ্জার হার। আইপিএল-এর ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলগত রানের ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন তারাই। পরের ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গিয়েছে। গত ম্যাচে হারতে হয়েছে গুজরাত লায়ন্সের কাছে। ন’ম্যাচে ছ’টিতেই হার। হারের পর বিরাট বলেন, ‘‘ম্যাচ হার মেনে নেওয়াটা সহজ ছিল না। গুজরাতের বিরুদ্ধে আমরা ভাল খেলিনি। আমাদের পারফর্মেন্স আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল। আমরা ব্যাট হাতে কিছুটা চেষ্টা করেছিলাম। এর থেকে বেরনোর একটা রাস্তা সেটা হল পজিটিভ ক্রিকেট খেলা। দলের উপরও খুব চাপ তৈরি হচ্ছে। ব্যাক্তিগতভাবে দায়িত্ব নিয়ে নিজের সেরাটা দিতে হবে সবাইকে।’’
বেঙ্গালুরুর টপ অর্ডারের ধসে পড়া নিয়ে অবশ্য কোনও অজুহাত দেননি কোহালি। সেই তালিকায় রয়েছে তিনি নিজেও। রয়েছেন ক্রিস গেইল, এবি ডে ভিলিয়ার্সের মতো বিশ্বের সেরা ব্যাটিং তারকারা। তবুও রানের পাল্লা ঝুঁকছে না তাঁদের দিকে। পাশাপাশি অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাটিংয়ের প্রশংসাও করেছেন তিনি। ৩৪ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বলেন, ‘‘কৃতিত্ব ফিঞ্চের। ও দারুণ ব্যাট করেছে। অল্প রানের টার্গেটে একজন দায়িত্ব নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’’ যদিও গুজরাত অধিনায়ক সুরেশ রায়না কৃতিত্ব দিচ্ছেন অ্যান্ড্রু তাইয়ের পর পর দু’বলে দু’উইকেটকে। তাঁর মতে ওটাই টার্নিং পয়েন্ট। রায়না নিজেও ব্যাট হাতে সফল।