একাগ্র: প্রস্তুতিতে ট্র্যাভিস হেড। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে। ছবি: পিটিআই।
বিজয় থালাপতি অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা নিয়ে চেন্নাই শহরে প্রবল আলোচনা। স্বস্তির খবর একটাই, এখনও পর্যন্ত দু’টি সিনেমার চুক্তিপত্রে সই করা আছে তাঁর। শুটিংও চলছে। শেষ বারের মতো তাঁকে বড় পর্দায় দেখার আশায় বুক বেঁধেছেন ভক্তেরা। আইপিএলের প্লে-অফ ও ফাইনাল হবে যে শহরে, সেই চেন্নাইয়ের বাসিন্দাদের খুব একটা আগ্রহ দেখা গেল না ম্যাচকে কেন্দ্র করে। কারণ, চেন্নাই সুপার কিংস প্লে-অফের আগেই ছিটকে গিয়েছেন। বিরাট কোহলি-র রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও বিদায় নিয়েছে বুধবার রাতে। কাকে দেখতে তাঁরা মাঠে আসবেন?
এক অভিজ্ঞ অফস্পিনার অবশ্য আছেন। যাঁর ঘূর্ণিতে তছনছ হয়ে গিয়েছে আরসিবি সমর্থকদের স্বপ্ন। চেন্নাইয়েরই ভূমিপুত্র তিনি। এলিমিনেটরে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, বয়স তাঁরও বাড়ছে। তবুও সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং বিভাগের মূল ভরসা তারকা অফস্পিনারই। তিনি, আর. অশ্বিন।
ম্যাচের আগে আবার অশ্বিন কিছুটা সতর্কও। আইপিএলের ওয়েবসাইটে এক ভিডিয়োয় তিনি বলেছেন, ‘‘এই আইপিএলে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে। তাই ওদের মুখোমুখি হওয়াটা আমাদের কাছে একটা বড় পরীক্ষা। তবে আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি।’’
আমদাবাদের মতো ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা নেই রজনীকান্তের শহরে। কিন্তু ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও কাহিল করে দেওয়ার মতো পরিবেশ। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৮ শতাংশ। যার প্রভাব পড়তে পারে পিচেও। বল থমকে আসতে পারে ব্যাটে।
পাওয়া যেতে পারে বাড়তি ঘূর্ণি। পার্থক্য গড়ে তুলতে পারেন ট্রেন্ট বোল্ট, টি নটরাজনের মতো পেসাররাও। পিচে আর্দ্রতা থাকলে বল পড়ে দিক পরিবর্তন করতে পারে।
চেন্নাইয়ে শুক্রবার হেডের ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন রাজস্থানের অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্টও। শেষ দু’টি ম্যাচেই বাঁ-হাতি পেসারের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েন হেড। আরশদীপ সিংহ তাঁর অফস্টাম্প ছিটকে দেন। স্টার্কের ডেলিভারি আছড়ে পড়ে মিডল স্টাম্পে। হেডকে তাই এ দিন বিশেষ অনুশীলন করানো হয়। ব্যাট করানো হয় ৪৫ মিনিট ধরে। বাঁ-হাতি পেসারদের বিরুদ্ধে শুরুর ২০ মিনিট ব্যাট করেন তিনি। থ্রো-ডাউন বিশেষজ্ঞও অনুশীলন করান তাঁকে।
তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার এক সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেল, ব্যাটিং-সহায়ক পিচ তৈরি করার চেষ্টাই চলছে। যদিও শুরুর দিকে সাহায্য পেতে পারেন পেসাররা। কিন্তু যা গরম, তাতে স্পিনারদের ম্যাচের বাইরে রাখা সম্ভব নয়। বল ঘুরবেই। যা কপালে ভাঁজ ফেলতে পারে প্যাট কামিন্সের দলের। মায়াঙ্ক মার্কন্ডে, শাহবাজ় আহমেদ ছাড়া নির্ভরযোগ্য স্পিনার নেই দলে। অন্য দিকে রাজস্থানের অস্ত্র ভারতের অন্যতম দুই অভিজ্ঞ স্পিনার। ওপেনারদের উপরেই মূলত নির্ভর করে রয়েছে হায়দরাবাদ। হেড ও অভিষেক শর্মার জুটি যে ম্যাচগুলোয় জ্বলে উঠেছে, হায়দরাবাদকে হারানো যায়নি। প্রথম কোয়ালিফায়ারে নাইটদের বিরুদ্ধে পাওয়ার-প্লেতেই চার উইকেট হারানোর পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি হায়দরাবাদ। তাই তৈরি রাখা হচ্ছে এডেন মার্করামকে।
এক দিকে আরসিবিকে হারিয়ে তরতাজা সঞ্জু স্যামসনরা, অন্য দিকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই প্যাট কামিন্সদের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে কেকেআরের মুখোমুখি কারা হন, পরিষ্কার হয়ে যাবে শুক্রবার রাতেই।