Sports News

দু’কোটির ইশান্তের উইকেট শূন্য, এমন আরও কিছু তথ্য

এই আইপিএল যেমন তুলে এনেছে অনেক নতুন মুখ তেমনই তৈরি করেছে একাধিক রেকর্ড। সেই তালিকার কখনও ঢুকে পড়েছে কোনও দল তো কখনও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতো ক্রিকেটার। কখনও শিরোনামে উঠে এসেছেন লেগ স্পিনাররা আবার কখনও মুখ থুবড়ে পড়েছেন দু’কোটির পেসার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৭ ১৫:৫৩
Share:

দু’কোটির ব্যর্থতম বোলার ইশান্ত শর্মা।

এই আইপিএল যেমন তুলে এনেছে অনেক নতুন মুখ তেমনই তৈরি করেছে একাধিক রেকর্ড। সেই তালিকার কখনও ঢুকে পড়েছে কোনও দল তো কখনও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতো ক্রিকেটার। কখনও শিরোনামে উঠে এসেছেন লেগ স্পিনাররা আবার কখনও মুখ থুবড়ে পড়েছেন দু’কোটির পেসার। ১৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি থেকে সব থেকে কম ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন। সবই রয়েছে এই তালিকায়। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই আইপিএল-এর হাল হকিকত।

Advertisement

আরও খবর: এ বারের আইপিএল-এ নতুন আবিষ্কার কারা

মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: এই নিয়ে সাতবার। একমাত্র মহেন্দ্র সিংহ ধোনিই যিনি সাতবার আইপিএল ফাইনাল খেললেন। তাঁর মধ্যে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাঁর। পাঁচবার হারের মুখ দেখতে হয়েছে। ছ’বারই খেলেছেন চেন্নাইয়ের হয়ে। এ বার খেললেন পুণের হয়ে। হয়তো পরের মরসুমে আবার ফিরে যাবেন পুরনো দলে।

Advertisement

ছক্কার বন্যা: টি২০তে বড় শট দেখা যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু গতবারের থেকে এ বার ৬৭টি বেশি ছক্কা হাঁকালেন আইপিএল-এর ব্যাটসম্যানরা। এই মরসুমে মোট ছক্কা ৭০৫টি। আর সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন পঞ্জাবের গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও হায়দরাবাদের ডেভিড ওয়ার্নার। দু’জনেরই ছক্কার সংখ্যা ২৬।

ইশান্ত শর্মা: নিলামে ইশান্তের বেস প্রাইজ ছিল ২কোটি। কিন্তু সেই সময় কোনও দলই তাঁকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি। পরে আইপিএল-এর মাঝেই ইশান্তকে দলে নেয় কিংস ইলেভেন পঞ্জাব মুরলী বিজয়ের জায়গায়। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি দিল্লির পেসার। একটিও উইকেট আসেনি তাঁর ঝুলিতে। মোট ১৮ ওভার বল করেছেন তিনি।

লেগ স্পিনারদের সাফল্য: দুরন্ত এ বারের লেগ স্পিনাররা। আইপিএল-এর ইতিহাসে এই প্রথম লেগ স্পিনাররা ১০০ উইকেট নিলেন।

দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি: সুনীল নারিনের ব্যাট থেকে এল এ বারের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। ১৫ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেললেন বোলার থেকে অল-রাউন্ডার এমনকী ওপেনার হয়ে যাওয়া নারিন। এটাই আইপিএল-এর দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। যৌথভাবে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ইউসুফ পাঠান।

৭টি আইপিএল ফাইনাল খেলে ফেললেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।

সর্বোচ্চ পাওয়ার প্লে স্কোর: এই রেকর্ড নিজেদের দখলে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ওপেনিং জুটিতে প্রথম ৬ ওভারে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন কলকাতার দুই ওপেনার। এই রেকর্ড আগে ছিল ২০১৪ সালে চেন্নাইয়ের দখলে (১০০)।

ভুবনেশ্বর কুমার: এ বারের পার্পেল ক্যাপ জয়ী বোলার তিনিই। ১৪ ম্যাচে ২৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রথম থেকেই ছিলেন এই পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে ছিলেন তিনি। তাঁকে কেউ ছাপিয়ে যেতে পারেননি। এটাই এক মরসুমে কোনও ভারতীয়র সর্বোচ্চ উইকেট।

রাত দু’টোয় ক্রিকেট: এমনটা আগে কখনও হয়নি। রাত দুটোর সময় খেলা হচ্ছে ক্রিকেট। এলিমিনেশন পর্বে কলকাতা বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচ বৃষ্টির জন্য বন্ধ থাকার ফলে ম্যাচ গড়ায় রাত একটা পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত ৫-৫ ওভারের ম্যাচ শেষ হয় রাত ১.২৭এ।

মধ্যরাতের আইপিএল। এলিমিনেশন পর্বে খেলল কলকাতা-হায়দরাবাদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement