তারকা: সেঞ্চুরি করে শিরোনামে সঞ্জু স্যামসন। বিসিসিআই
মাস চারেক আগেও তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন বিতর্কে। গোয়ার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ চলার সময় কাউকে না বলে মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। এর পরে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে কেরল ক্রিকেট সংস্থা।
সেই বিতর্কিত অধ্যায় এখন অতীত। মঙ্গলবারের আইপিএল দেখল এমন এক সঞ্জু স্যামসনকে, যিনি একই সঙ্গে বিধ্বংসী এবং আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। যে স্যামসন দশম আইপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিটা করে গেলেন পুণে সুপারজায়ান্টের বিরুদ্ধে। স্যামসনের ৬৩ বলে ১০২ রানের ইনিংসের সৌজন্যে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ম্যাচ জিতে নিল ৯৭ রানে। দিল্লির ২০৫-৪ স্কোরের জবাবে পুণের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১০৮ রানে।
ম্যাচের সেরা হয়ে স্যামসন ধন্যবাদ দিচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়কে। বলছেন, ‘‘আমি খুব ভাগ্যবান যে রাহুল স্যারকে অনেক দিন ধরে সঙ্গে পাচ্ছি।’’ স্যামসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি সেট হয়ে যাওয়ার পরেও উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। সেই প্রসঙ্গে স্যামসন বলেন, ‘‘আমি এখন চাইছি শেষ পর্যন্ত খেলে টিমকে ম্যাচ জেতাতে।’’
আরও পড়ুন: ম্যাড ম্যাক্সের প্রশংসায় পন্টিং
পুণে অবশ্য ম্যাচ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খায়। অসুস্থ থাকায় সরে দাঁড়ান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। অধিনায়কত্ব করেন অজিঙ্ক রাহানে। মঙ্গলবার সকালেই আবার বাবা মারা যান মনোজ তিওয়ারির। ফলে তাঁকেও পায়নি পুণে। দিল্লির রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভেঙে পড়ে পুণের ব্যাটিং। সর্বোচ্চ রান ময়ঙ্ক অগ্রবালের (২০)। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আউট হন ১১ রানে। দিল্লি বোলারদের মধ্যে তিনটে করে উইকেট নেন অমিত মিশ্র এবং জাহির খান। পুণের সবচেয়ে দামি বিদেশির অবস্থাও মঙ্গলবার শোচনীয় হল। বেন স্টোকস শেষ ওভার বল করতে এসে ২২ রান দিয়ে গেলেন। ওই ওভারের দু’টো ছয়, দু’টো চার মারলেন ক্রিস মরিস। ৯ বলে অপরাজিত ৩৮ করেন মরিস। স্টোকস (২) ব্যাটেও ব্যর্থ।
সেই রাজস্থান রয়্যালসের সময় থেকে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আছেন স্যামসন। স্যামসনের মানসিকতা এবং ব্যাটিং বরাবরের পছন্দ দ্রাবিড়ের। ভরসা ছিল বলেই এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে তুলে নিয়ে আসা হয়। এবং সেই আস্থার যোগ্য মর্যাদা দিলেন কেরলের ছেলে।
কুইন্টন ডি কক এবং জে পি দুমিনি আইপিএল শুরুর আগেই সরে দাঁড়ানোয় ব্যাটিং সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল দিল্লি। অধিনায়ক জাহির খান বলেছিলেন, ‘‘আমাদের ব্যাটিং দাঁড়িয়ে আছে তরুণ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ওপর। ওরা ভাল খেললেই আমরা বড় রান তুলতে পারব।’’ দেখা গেল, জাহির ভুল বলেননি। আগের ম্যাচে ঋষভ পন্থের ব্যাটিং প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিল দিল্লিকে। এ বার স্যামসনের তাণ্ডবে ম্যাচ জিতে গেল জাহির খানের দল।