ম্যাচ শেষ হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন তিনি। তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর সচিন তেন্ডুলকর। ছ’বছর আগে ওয়াংখেড়ের সেই রাতের সচিনের সঙ্গে এই সচিনের অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল যেন। কিন্তু সেই আবেগ আর এই আবেগের অনেক তফাৎ। সচিন নিজেই বললেন, ‘‘এই রাত আমার কাছে তো আর নতুন কিছু নয়। কিন্তু বারবারই যেন নতুন মনে হয় এই উচ্ছ্বাসের রাত।’’
তাঁদের দলের এই অপ্রত্যাশিত জয় নিয়ে সচিন বলেন, ‘‘অসাধারণ জয়, প্রথম ইনিংসটা মোটেই ভাল যায়নি আমাদের। বোর্ডে তেমন রান তুলতে পারিনি আমরা। কিন্তু শেষটা যে ভাবে হল, তা সত্যিই মনে রাখার মতো।’’
তবে বিরতিতে রোহিতদের ড্রেসিংরুমে যে একবারও হারের কথা বলেনি কেউ, তা জানিয়ে সচিন বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস ছিল, ম্যাচটা আমরা জিততেও পারি। শেষ বল পর্যন্ত চেষ্টা করতে হবে। বিরতিতে মাহেলা (জয়বর্ধনে) ছেলেদের উদ্দেশ্যে যে কথাগুলো বলে, তাতেই সবাই তেতে যায়। এই চাপের মধ্যে আমাদের ছেলেরা যা ফিল্ডিং করেছে, তা অনবদ্য।’’
সচিনরা বিশ্বাস রেখেছিলেন লাসিথ মালিঙ্গার উপরও। এর আগে মালিঙ্গা প্রত্যাশা অনুযায়ী বোলিং না করতে পারলেও এই ম্যাচে যে সে ভাল বল করতে পারে সেই বিশ্বাস ছিল বলেই জানালেন সচিন। বলেন, ‘‘চ্যাম্পিয়নরা চিরকাল চ্যাম্পিয়নই থাকে। জানতাম মালি যে কোনও ম্যাচে ভাল বল করবেই। আর দেখুন আজই সেটা করে দিল। শেষ তিনটে ওভারে একেবারে ঠিক বোলাররা বোলিং করেছে।’’
আরও পড়ুন: ইয়র্কারে বাজিমাত বুমরাদের
কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে আবার দলের সিনিয়রদের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘সিনিয়ররাই শেষ পর্যন্ত মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ হাসিল করে নিল। বাকিরা ধৈর্য্য ধরে কাজটা শেষ করল। একেই বলে টিমওয়ার্ক।’’
ম্যাচের সেরা ক্রুনাল পাণ্ড্য বলেন, ‘‘দুটো বড় ম্যাচে অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। আমি যখন ব্যাট করছিলাম, তখন উল্টো দিক থেকে উইকেট পড়তে থাকে। তাই শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে চাইছিলাম। প্রথম আইপিএল ফাইনালে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়ে দারুণ লাগছে।’’
আর যাঁর ক্যাচে শেষ ওভারে ফিরে যান স্মিথ, সেই অম্বাতি রায়ডুর বক্তব্য, ‘‘ফাইনালে কিছু একটা করতে চাইছিলাম। সেটাই করলাম।’’