শিবাজি নগরের সেন্ট্রাল মলে থেকে শুরু করে অওধ— পুণের প্রতিটা অঞ্চল মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোলাপি পোস্টারে। স্টিভ স্মিথ ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যেখানে হুঙ্কার দিচ্ছেন। সামনে স্লোগান— রং ওয়াহি জোশ নায়ি।
ক্লাস ওয়ানের ছেলে যেমন বলছে, ‘‘ধোনির খেলা আমার পছন্দ।’’ আবার বয়স্ক লোকেদের মুখেও মাহি। পুণে যেন আক্রান্ত মহেন্দ্র সিংহ ধোনি জ্বরে। চেন্নাই সুপার কিংগসের ফর্ম তিনি পুণেতে আনতে পারেননি। তাতেও ধোনিকে আপন করে নিয়েছে এই শহর। আশা রাখছে হয়তো এ বার বিশ্বের সেরা ফিনিশারের সৌজন্যে পুণে শহরের আইপিএলে সিদ্ধিলাভ হবে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে বুধবার ঘরের মাঠে নামবেন ধোনি। ম্যাচের আগে আলোচ্য বিষয় অবশ্য সেই পিচ। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টে পুণের এই পিচই তো ছিনিয়ে নিয়েছিল শিরোনাম। ও’কিফের দাপটের পরে কম কথা শুনতে হয়নি পুণের কিউরেটর পাণ্ডুরাং সালগাওনকরকে। কিন্তু আইপিএলে তিনিও যে বদ্ধপরিকর ভাল একটা পিচ দেবেন। ‘‘দেখুন টেস্টের ব্যাপারটা আলাদা। ওটা বিসিসিআই করেছিল। আইপিএলে আমাকে নিজের মতো পিচ তৈরি করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’’ কলকাতা কী আশা করতে পারে? ‘‘পিচে ঘাস আছে। ঘরের মাঠে পুণের শেষ ম্যাচেও ছিল। কিন্তু উইকেটটা শুকনো হবে,’’ বলছেন সালগাওনকর। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘ইডেনের পিচটা তো দেখলাম। গ্রিন টপ ছিল। বলটা খুব বেশি সুইং করছিল। কিন্তু এখানে এ রকম হবে না।’’
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে এখনও পর্যন্ত তিনটে ম্যাচ খেলেছে পুণে। গড় স্কোর হয়েছে ১৮০। আবার স্পিনারদের ভাগ্যেও জুটেছে উইকেট। সালগাওনকর বলছেন, ‘‘আমি এমন উইকেট তৈরি করছি যাতে লোকে ভাল একটা ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে পায়। দিনের শেষে সেটাই আসল।’
হঠাৎ করেই আইপিএলের কালো ঘোড়া হয়ে উঠেছে পুণে। জয়ের মেজাজেই নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে পুণে। সোমবার মহারাষ্ট্র ডার্বিতে শেষ হাসি হাসল রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়রথ থামিয়ে ৩ রানে জয় পেল রাইজিং পুণে। প্রখমে ব্যাট করতে নেমে পুণে তোলে ১৬০-৬। শেষ ম্যাচে পুণেকে জেতালেও এ দিন ব্যাটে ব্যর্থ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি(৭)। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল মুম্বই। স্লগ ওভারে বেন স্টোকস ও ইমরান তাহিরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় তুলে আনে পুণে। শেষ ওভারে জেতার জন্য মুম্বইয়ের বাকি ছিল ১৭ রান। রোহিত শর্মা(৫৮) শেষ চেষ্টা করেও পারেননি।