মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
স্বস্তি ফিরল মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং প্যাট কামিন্সদের শিবিরে। বিদ্যুৎ ফিরল হায়দরাবাদের উপ্পল স্টেডিয়ামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ নিয়ে তৈরি হওয়া সংশয়ের অবসান হল। চিন্তামুক্ত হলেন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এইচসিএ) কর্তারাও।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সংযোগ ফিরিয়ে দিল তেলঙ্গানার সরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা। এইচসিএ সভাপতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘আইপিএলের হায়দরাবাদ-চেন্নাই ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দিয়েছে সরকারি সরবরাহ সংস্থা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ম্যাচ হতে আর কোনও সমস্যা নেই। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী খেলা হবে।’’
তেলঙ্গানা স্টেট সার্দান পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, এইচসিএর বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫২১ টাকা। বার বার নোটিস দেওয়ার পরেও টাকা দেয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে নোটিস পাঠিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে বকেয়া না মেটালে আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। তাতেও টনক নড়েনি এইচসিএ কর্তাদের। এর পর বৃহস্পতিবার উপ্পল স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন সরকারি সংস্থার কর্মীরা। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন স্টেডিয়ামে শুক্রবার হায়দরাবাদ-চেন্নাই ম্যাচ হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়।
গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ।
স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে এলেও কী ভাবে সমস্যার সমাধান হয়েছে, তা জানা যায়নি। বিলের বাকি থাকা প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সরকারি সংস্থাকে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানাননি এইচসিএ সভাপতি।
বিদ্যুতের বিল বাবদ এইচসিএ-র বকেয়া ছিল ৩ কোটি ৫ লাখ ১২ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে মূল বিলের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার ২৬৯ টাকা। বাকি ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫২১ টাকা ছিল সার্জ চার্জ। করোনা অতিমারীর জন্য এই সার্জ চার্জের টাকা মকুব করার জন্য তেলেঙ্গানার সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থাকে অনুরোধ করেছিল এইচসিএ। কিন্তু বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তারা সেই অনুরোধ অনেক আগেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।