রবিবার চিন্নাস্বামীতে আরসিবি-কে ধরাশায়ী করে কার্যত প্লে-অফে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলল কেকেআর। কোনও বড়সড় অঘটন ছাড়া গৌতম গম্ভীরদের প্লে অফে না খেলার সম্ভাবনা কম।
কিন্তু প্রশ্ন হল কেকেআর প্রথম দুইয়ে থাকবে, না তিন-চারে?
প্রথম দুইয়ে থাকলে কোয়ালিফায়ার-১ জিতে সরাসরি ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা খোলা। সেই ম্যাচে হারলেও ফাইনালে ওঠার আর একটা সুযোগ পাওয়া যাবে কোয়ালিফায়ার-২-তে।
কিন্তু তিন বা চারে থাকলে ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা আরও কঠিন। এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার-২ জিতে তবে ফাইনালে পৌঁছতে হবে। আর এলিমিনেটরে হারলে সরাসরি বিদায়। আর কোনও সুযোগ নেই।
লিগ টেবলের শীর্ষে এখন মুম্বই। যাদের এখনও তিনটে ম্যাচ বাকি। আর কেকেআরের বাকি দু’টো ম্যাচ। যার মধ্যে একটা আবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই ইডেনে। যা অবস্থা, তাতে শনিবার ইডেনে কেকেআর-মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচই হয়ে উঠতে পারে এক ও দুইয়ের লড়াই।
আরও পড়ুন: রেকর্ড করে নিজেই বিস্মিত নারিন
মঙ্গলবার মোহালিতে কেকেআর কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবের মুখোমুখি হবে। আর শনিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। এই দু’ম্যাচে তারা জিতলে গম্ভীরদের প্রথম দুইয়ে থাকা পাকা। তবে মুম্বই যদি শনিবার ইডেনে নামার আগে দু’টো ম্যাচ জিতে আসে, তা হলে এক নম্বর জায়গা সুরক্ষিত করেই ইডেনে নামবে। রোহিত শর্মাদের এই দুই ম্যাচ সানরাইজার্স ও কিংগসের বিরুদ্ধে।
কেকেআরের ঘাড়ে আবার নিঃশ্বাস ফেলছে পুণে সুপারজায়ান্ট। দু’দলের পয়েন্ট সমান হলেও নেট রান রেটে পুণে বেশ পিছিয়ে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের ম্যাচ বাকি পাঁচ ও ছয়ে থাকা কিংগস ইলেভেন ও দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে। পুণে দু’ম্যাচেই জিতলে ও নাইটরা একটা ম্যাচ হারলে কেকেআর তিন নম্বরে নেমে যাবে। অর্থাৎ প্রথম দুইয়ে থাকতে গেলে নাইটদের আর হারা চলবে না। তারা যদি শেষ দুই ম্যাচেই হেরে যায়, তা হলেও অবশ্য তাদের তিন-চারে থাকার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের।
রবিবার রাতে কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব হেরে যাওয়ায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। তাদের দূরত্ব একই আছে বলে। তাঁদের তিনটে ম্যাচ বাকি বলে ম্যাক্সওয়েলরা এখনও প্লে অফের দৌড়ে আছেন। তবে এই জটিল অঙ্কের জট খুলতে এখনও এক সপ্তাহ বাকি।