গুজরাতের বিরুদ্ধে কেকেআরকে জিতিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস রিঙ্কু সিংহের। ছবি: পিটিআই
খেলা শেষে মাঠে নেমে জড়িয়ে ধরেছিলেন রিঙ্কু সিংহকে। তাঁর চোখে তখন জল। সেই চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতই রিঙ্কুর ইনিংসকে সেরা বলছেন না। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচের মুখে আরও দুই ক্রিকেটারের নাম।
গুজরাতকে হারানোর পরে দলের সাজধরে ক্রিকেটারদের পেপটক দিতে গিয়ে চন্দ্রকান্ত বলেন, ‘‘ক্রিকেটার ও কোচ হিসাবে আমার ৪৩ বছরের কেরিয়ারে এর আগে আমি দুটো ইনিংস দেখেছি। প্রথম, রঞ্জি ট্রফিতে রবি শাস্ত্রীর ৬ বলে ৬ ছক্কা মারা। দ্বিতীয়, শারজায় ভারতের বিরুদ্ধে শেষ বলে জাভেদ মিয়াঁদাদের ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো। তার পরে আমি রিঙ্কুকে দেখলাম।’’
তবে সেই সঙ্গে রিঙ্কুর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে কোচের মুখে। চন্দ্রকান্ত বলেন, ‘‘শেষ ওভারে ওই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ জেতানো মোটেই সহজ নয়। রিঙ্কুর আত্মবিশ্বাস ছিল। সেটা কাজে লেগেছে।’’
ম্যাচের পরে দলের সাজঘরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উমেশের কথা টেনে আনেন কোচ চন্দ্রকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমি এক জনের কথা বিশেষ ভাবে বলব। তার নাম উমেশ। শেষ ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গল নেওয়ার জন্য ওর বিশেষ প্রশংসা প্রাপ্য। নইলে আমরা ম্যাচ জিততে পারতাম না।’’
গুজরাতের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে কেকেআরের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। প্রথম বলে লং অন অঞ্চলে সিঙ্গল নেন উমেশ। পরের ৫টি বল উড়ে যায় গ্যালারিতে। ম্যাচ জেতে কেকেআর। উমেশ ওই সিঙ্গল না নিলে রিঙ্কু ৫টি ছক্কা মারার সুযোগই পেতেন না। তাই তাঁর বিশেষ প্রশংসা করেছেন কোচ।