কলকাতা নাইট রাইডার্স দল। — ফাইল চিত্র।
আইপিএলের প্লে-অফে ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে কলকাতা। কিন্তু কেকেআরের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। কারণ, প্লে-অফে নাইটরা পাবে না ফর্মে থাকা ওপেনার ফিল সল্টকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ইংরেজ ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে গিয়েছেন।
এখনও গ্রুপ পর্বের দু’টি ম্যাচ বাকি। সেই দু’টি ম্যাচে রাজস্থান পাবে না তাঁদের ইংরেজ ক্রিকেটার জস বাটলারকে। বেঙ্গালুরু পাবে না উইল জ্যাকস এবং রিসি টপলিকে। হারের হ্যাটট্রিকের জেরে রাজস্থান এখনও প্লে-অফ নিশ্চিত করতে পারেনি। দলের দু’টি ম্যাচ বাকি থাকা সত্ত্বেও সেগুলিতে তাঁরা পাবে না বাটলারকে। তিনি আবার ইংল্যান্ডের অধিনায়কও। সোমবার রাজস্থানের তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘আমরা তোমাকে মিস্ করব, জস ভাই’।
বেঙ্গালুরুও একই রকম একটি পোস্ট করেছে। সেখানে জ্যাকস এবং টপলির দেশে ফেরার কথা জানানো হয়েছে। পঞ্জাব কিংস দল ছেড়ে দেশে ফিরছেন লিয়াম লিভিংস্টোনও। তবে তাঁর দল আগেই আইপিএলের প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে।
সল্ট বিশ্বকাপের দলে থাকায় তাঁকেও ছেড়ে দিতে হবে। তবে গুয়াহাটিতে রাজস্থানের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে।
আইপিএলে মাঝপথে এ ভাবে ক্রিকেটারেরা দেশে ফিরে যাওয়ায় অনেকেই খুশি নন। এক সংবাদপত্রের কলামে সুনীল গাওস্কর লিখেছেন, “দেশের হয়ে ক্রিকেটারদের খেলতে যাওয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় আমি বিশ্বাসী। কিন্তু ওরা নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে পুরো মরসুম থাকার চুক্তি করেছে। এখন ছেড়ে চলে গেলে ওদের দল বিপদে পড়বে। দেশের হয়ে কয়েক মরসুম খেলে যে টাকা পায় তার থেকে এক বছরে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ওদের বেশি টাকা দেয়।”
গাওস্করের সংযোজন, “ক্রিকেটারদের যে বেতন দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো, তার থেকে ভাল মতো একটা অংশ কেটে নেওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, বিদেশি ক্রিকেটারদের খেলানোর জন্য ওদের বোর্ডগুলোকে যে ১০ শতাংশ ফি দেওয়া হয়, সেটাও দেওয়া উচিত নয়।”