ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতালেন ডেভিড ওয়ার্নার ও বিজয় শঙ্কর। ছবি: পিটিআই।
গুজরাত ১৫৪ (১৯.২/২০ ওভার)
হায়দরাবাদ ১৫৮/৮ (১৮.১/২০ ওভার)
গুজরাত লায়ন্সকে হারিয়ে দশম আইপিএল-এর প্লে অফে পৌঁছে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টস জিতে শনিবার গুজরাতকে লায়ন্সকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভার শেষ হওয়ার আগেই গুটিয়ে যায় গুজরাতের ইনিংস।
আরও খবর: কলকাতায় বৃষ্টি, ইডেনে পিছিয়ে গেল ম্যাচের সময়
গুজরাতের দুই ওপেনারই যা ব্যাট হাতে ভরসা দিয়েছিলেন। এর পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। কারও রান ১০এর গণ্ডিও পেড়োতে পারেনি। মাঝে একটা শুধু ২০ রান ছাড়া। ডোয়েন স্মিথ ও ঈশান কিষান ব্যাট হাতে শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেন। ৩৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে প্যাভেলিয়নে ফেরেন স্মিথ। ৭টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। আর এক ওপেনার ঈশান কিষানের ৪০ বলে ৬১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারিতে। এখানেই শেষ হয়ে যায় গুজরাতের ব্যাটিং। এর পর অধিনায়ক সুরেশ রায়না (২), দীনেশ কার্তিক (০), অ্যারন ফিঞ্চ (২), জেমস ফকনার (৮), প্রদীপ সাঙ্গওয়ান (০), অঙ্কিত সোনি (০), প্রভীন কুমার (১), মুনাফ পটেল (০) পর পর ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। মাঝে শুধু ব্যাট হাতে সাময়িক স্বস্তি দেওয়া চেষ্টা করেন রবীন্দ্র জাডেজা। ১৪ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৯.২ ওভারে ১৫৪ রানেই শেষ হয়ে যায় গুজরাতের ইনিংস।
চার উইকেট নিলেন মহম্মদ সিরাজ।
হায়দরাবাদের হয়ে ৪টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। তিনটি উইকেট রশিদ খানের। জোড়া উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। একটি উইকেট সিদ্ধার্থ কলের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.১ ওভারে জয়ের রান তুলে নেয় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তোলে হায়দরাবাদ। ওপেনার অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ৫২ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। এদিন এই আইপিএল-এ ৬০০ রান করে ফেললেন ওয়ার্নার। হাঁকালেন ৯টি বাউন্ডারি। আর এক ওপেনার শিখর ধবন ১৮ রান করেই ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। তিন নম্বরে নেমে মোয়েসেস এনরিকস ৪ রান করেই আউট হয়ে যান। এর পর অধিনায়কের সঙ্গে মিলে বিজয় শঙ্কর বাকি কাজ করে যান। ৪৪ বলে অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন শঙ্কর। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মহম্মদ সিরাজ।