লোলিত মোদী কি এখনও আইপিএলের খেলা দেখেন? ছবি: টুইটার।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ১৬তম আইপিএল। কী করছেন প্রতিযোগিতার জনক ললিত মোদী। তিনি কি লন্ডনের বাড়িতে বসে দেখছেন নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রতিযোগিতার লড়াই? নাকি ‘প্রিয়’ ক্রিকেট থেকে সচেতন ভাবে নিজেকে দূরে রেখেছেন?
আইপিএল যত দিন থাকবে, তত দিন না থেকেও হয়তো থাকবেন ললিত। ক্রিকেট বিশ্বের সব থেকে দামী প্রতিযোগিতা উপহার দিয়েছেন তিনি। আইপিএলের প্রাক্তন কমিশনারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দেশ ছেড়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি মূলত লন্ডনের বাসিন্দা। সেখান থেকেই আইনি লড়াই লড়ছেন। দুর্নীতির অভিযোগ বহু বার উড়িয়ে দিয়েছেন ললিত। একাধিক বার বলেছেন, তাঁর যা পারিবারিক সম্পত্তি রয়েছে, তার পর দুর্নীতি করার প্রয়োজন নেই। ‘সামান্য’ কিছু টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ হাস্যকর।
‘সামান্য’ পরিমাণ টাকার অঙ্ক ৪২৫ কোটি টাকা। তিন আগে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা সমাজমাধ্যমে বিজেপিকে বিঁধে একটি তালিকা দিয়েছিলেন। যাতে বিজেপির শাসনকালে দেশ ছাড়া শিল্পপতিদের নাম ছিল। কে কত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে চলে গিয়েছেন, তা উল্লেখ করা আছে। সেই তালিকায় রয়েছেন ললিতের নামও। তাঁর বিরুদ্ধে ৪২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক জন ললিতকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘সামান্য এই টাকা কেন আত্মসাৎ করতে গেলেন। কী প্রয়োজন ছিল আপনার?’
উত্তর দিতে গিয়ে সুকৌশলে আইপিএলকে টেনে এসেছেন ললিত। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমি ক্রিকেট ছেড়েছিলাম কারণ, সেটা আমার ব্যবসা ছিল না। জীবন যাপনের জন্য ক্রিকেটের উপর নির্ভর করতে হত না। আমি ওদের খেলাটা তৈরি করে দিয়েছিলাম। আমি এমন একটা পরিবার থেকে এসেছি, যার আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমার কাছে সব সময় যথেষ্ট টাকা ছিল। ক্রিকেট কখনও আমার প্রেরণা ছিল না।’’ ঘটনা চক্রে মোদী এই উত্তর সমাজমাধ্যমে ভেসে উঠেছিল আইপিএল শুরুর আগের দিনেই।
দেশ এবং ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও আইপিএলকে ভোলেননি তার জনক। ২০ ওভারের ২২ গজের লড়াইয়ে আগের মতো নজর রাখেন কিনা জানা যায় না। তবে দুর্নীতির বাউন্সার দেখলে আগের মতোই দাপুটে শট খেলার চেষ্টা করেন মোদী এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর।