ধবনকে অভিবাদন ময়ঙ্কের। ছবি আইপিএল
আবার হারল চেন্নাই সুপার কিংস। সোমবার পঞ্জাব কিংসের কাছে তারা হারল ১১ রানে। অম্বাতি রায়ডু দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েও কাজ শেষ করে ফিরতে পারলেন না। প্রথমে ব্যাট করে ১৮৭/৪ তুলেছিল পঞ্জাব। জবাবে চেন্নাই থেমে গেল ১৭৬/৬ রানেই। শিখর ধবনের অপরাজিত ৮৮ রানই ম্যাচে ফারাক গড়ে দিল।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমেছিল পঞ্জাব। ষষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ব্যক্তিগত ১৮ রানে ফিরে যান অধিনায়ক ময়ঙ্ক অগ্রবাল। কিন্তু এর পর উইকেট পেতে কালঘাম ছুটে যায় চেন্নাই বোলারদের। এই ম্যাচে পঞ্জাব দলে আসা ভানুকা রাজাপক্ষ দুর্দান্ত খেলতে থাকেন। সঙ্গে শিখর ধবন তো ছিলেনই। দু’জনে মিলে চেন্নাই বোলারদের উপর চড়াও হন।
দু’টি চার এবং দু’টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৪২ রান করেন রাজাপক্ষ। ধবন অবশ্য থামেনি। তিনি শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে যান। হাতে বল থাকলে শতরানও করে ফেলতে পারতেন এ দিন। শেষ পর্যন্ত ৫৯ বলে ৮৮ রান করেন তিনি। মেরেছেন ন’টি চার এবং দু’টি ছয়। বিরাট কোহলীর পর দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে ৬০০০ রানের গন্ডি পেরোলেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতেও ৯০০০-এর বেশি রান হয়ে গেল তাঁর।
লিয়াম লিভিংস্টোন চারে নেমে শুরু থেকেই চালাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সাত বলে ১৯ রান করে ফিরতে হয় তাঁকে। নির্ধারিত ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৮৭ তোলে পঞ্জাব।
ওয়াংখেড়ের মাঠে লড়াকু স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই খোঁড়াতে থাকে চেন্নাই। রবিন উথাপ্পা (১) শুরুতেই ফিরে যান। ক্রিজে টিকতে পারেননি মিচেল স্যান্টনার (৯) এবং শিবম দুবেও (৮)। খারাপ ছন্দ কাটিয়ে রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৩০) ছন্দে ফিরেছেন বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু তিনিও বেশিদূর দলকে টানতে পারেননি।
এর পর একার হাতেই ম্যাচের মোড় প্রায় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন অম্বাতি রায়ডু। বুড়ো হাড়ে এখনও যে ভেল্কি দেখাতে পারেন সেটা এ দিন প্রমাণ করে দিলেন তিনি। উল্টো দিকে সঙ্গী হিসেবে কাউকে না পেলেও পঞ্জাবের বোলারদের উপর নির্মম ভাবে চড়াও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বয়সই তাঁর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াল এ দিন। অর্ধশতরানের পর গরমে দৃশ্যতই ক্লান্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। কাগিসো রাবাডার একটি নির্বিষ বলে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। ৩৯ বলে ৭৮ রানে আউট হয়ে গেলেন। ওখানেই চেন্নাইয়ের জয়ের আশা শেষ হয়ে গেল।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে শেষ ওভারে চেন্নাইকে জিতিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু এ দিন সেই কাজ করে দেখাতে পারেননি। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৭ রান। ঋষি ধবনকে প্রথম বলে ছয় মেরে শুরুটাও করেছিলেন ভাল। কিন্তু তৃতীয় বলে আবার ছয় মারতে গিয়ে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ধরা পড়লেন।